একটি জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় ? অথবা একটি এনআইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় ? এ প্রশ্ন অনেকের মাঝে থাকতে পারে
বর্তমান সময়ে আমরা অনেকে হয়তো লক্ষ্য করতে পারি আমাদের দুই ধরনের জাতীয় পরিচয় পত্র, স্মার্ট কার্ড এবং আরেকটি লিমিটিং যুক্ত জাতীয় পরিচয় পত্র । দুই ধরনের জাতীয় পরিচয় পত্র হওয়ার কারণে এক ব্যক্তির দুই ধরনের জাতীয় পরিচয় পত্রে দুইটি ভিন্ন নাম্বার রয়েছে কোনটি ১৩ ডিজিট আবার কোনটি ১৬ ডিজিট ।
আমার বাস্তব অভিঙ্গতা থেকে বলছি যে, চাইলে এই দুই ধরনের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে দুটি সিমে দুইটা বিকাশ একাউন্ট খোলা সম্ভব, তবে ১টি সিমে কখনোই ১টি এর বিকাশ একাউন্ট খোলা যায় না ।
যদিও একই ব্যক্তির দুটি ধরনের জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দুইটা বিকাশ একাউন্ট থাকলে, পরবর্তীতে বিকাশ কৃতপক্ষ একাউন্ট ধারণকারীকে ফোন দিয়ে তথ্য হালনাগাদ করে যেকোন একটি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করবে, আর সেই ক্ষেত্রে একটি অ্যাকাউন্ট সচল থাকবে ।
আর এ তথ্য হালনাগাদ অবশ্যই নির্দিষ্ট বিকাশ সেন্টারে গিয়ে করতে হবে, ফোন কলের মাধ্যমে বিকাশ কৃতপক্ষ তথ্য হালনাগাদ এর কথা বলবেনা । তথ্য হালনাগাদ এর সময় গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে । কাস্টমার কেয়ার বলতে আমরা আমাদের পাড়া-মহল্লায় যে বিকাশের এজেন্ট দেখতে পাই তাদেরকে বোঝানো হয় না, প্রত্যেকটি জেলায় বিকাশের একটি করে কাস্টমার কেয়ার রয়েছে এগুলো বোঝানো হয় । গুগল ম্যাপস এর সাহায্য নিয়ে বিকাশের কাস্টমার কেয়ার খুঁজে নিতে পারেন ।
বৈধ পদ্ধতি
তবে কেউ যদি চায় একই সিমে একই এনআইডি বিকাশের পার্সোনাল রিটেইলার একটা একাউন্ট খুলতে পারবে । পার্সোনাল রিটেল একাউন্টে বিকাশের অন্যান্য সাধারণ পার্সোনাল একাউন্টের মতই তবে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে ক্যাশ আউট সহ ক্যাশ ইন অন্যান্য কিছু সার্ভিসে । পার্সোনাল রিটেল অ্যাকাউন্টটি শুধুমাত্র সেই সকল গ্রাহকদের জন্য যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অনলাইনে তাদের প্রোডাক্ট সেল করে ।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে একটা সিমে একটা এনআইডি দুইটা বিকাশ একাউন্ট খুললে সেই ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন না পরবর্তীতে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ হবে না