আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বেকার শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত যুবক জনগোষ্ঠীদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে । কর্মসংস্থান ব্যাংকের পক্ষ থেকে একজন বেকার যুবক অনেক বেশি পরিমাণ ঋণ পেতে পারে এবং সরকারি সুবিধাও অনেকগুণ বেশি পাওয়া যাবে । ঋণ নিতে বেকার যুবককে অবশ্যই একজন উদ্যোক্তা হতে হবে । সে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত হোক সেটা ম্যাটার করবে না ।
যেসব খাতে ঋণ দেওয়া হবে :
বাংলাদেশে যেসকল ব্যাবসা খাত বৈধ সেসব খাতে ব্যাংক ঋণ প্রদান করবে ।
* প্রাণিসম্পদ খাত
* মৎস্য খাত
* যানবাহন/পরিবহন সেবা
* শিল্প-কারখানা স্হাপন
* ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উন্নয়ন
* সেবা খাত ও বাণিজ্যিক খাত ।
* উৎপাদনশীল প্রকল্প যেমন মাশরুম শাকসবজি ইত্যাদি ।
অনেকেই প্রশ্ন করে কর্মসংস্থান ব্যাংক কি সরকারি ? হ্যা এটি সরকারি ব্যাংক । শুধুমাত্র বেকারদের জন্য ।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার নিয়ম / কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি :
* যিনি ঋণ নিবে তাকে বেকার/অর্ধবেকার হতে হবে । ( বেকার শব্দের অর্থ কোন কিছুই করেন না আর অর্ধবেকার মানে মাঝে মধ্যে টুকটাক টাইম কিছুটা করে থাকে )
* ঋণ গ্রহীতার বয়স সর্বনিম্ন 18 থেকে 45 এর মধ্যে হতে হবে ।
* ঋণ গ্রহীতাকে সাধারন উদ্যোক্তা হতে হবে ।
* ঋণ গ্রহীতাকে অবশ্যই প্রকল্প পরিচালনা বিষয়ে অভিজ্ঞতা কিংবা প্রশিক্ষণ আগে থেকেই থাকতে হবে ।
* কর্মসংস্থান ব্যাংকের যে শাখা থেকে কিংবা যে এলাকা থেকে ঋণ গ্রহণ করবে তাকে অবশ্যই সে এলাকার স্থায়ী একজন বাসিন্দা হতে হবে ।
* এছাড়াও ঋণ নীতিমালার সকল বিষয় অনুসরণ করতে হবে ।
ঋণের ইন্টারেস্টের পরিমাণ :
সুদের হার সকল ক্ষেত্রে হবে সরল ।
* ক্ষুদ্র ব্যবসা খাতে 13% ।
* কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে 8% থেকে 9% ।
* প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন খাতে 10% ।
* দুগ্ধ উৎপাদন এবং কৃত্রিম প্রজনন খাতে 5% ।
* উৎপাদনশীল খাতে 11%
* বাণিজ্যিক খাতে 13%
ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জামানত বিহীন হবে । আর ঋণ মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে ।
প্রয়োজনীয় পেপারস :
* যিনি ঋণ গ্রহণ করবেন তার অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।
* পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করতে হবে ।
* তার সাথে দুই থেকে তিন জন গ্যারান্টর সর্বনিম্ন দরকার হবে এবং তাদের সম্মতি সঙ্গে সঙ্গে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এনআইডি কার্ডের ফটোকপি দরকার হবে ।
* যেহেতু এটি একটি জামানতবিহীন ঋণ, সেহেতু এখানে জামানতের কোন প্রকার দরকার হবেনা । কিন্তু যিনি গ্যারান্টার হবেন তাকে অবশ্যই দ্বিগুণ মূল্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থাকতে হবে এবং ঐসব পেপারসের ফটোকপি জমা দিতে হবে । অবশ্যই এটি বন্ধক হবে না ।
* বেকার যুবক যে খাতে ঋণ গ্রহণ করে থাকবে তাকে অবশ্যই সেই খাতে ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে । ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায় হল এসব পেপারস থাকলে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরমের জন্য এখানে ক্লিক করুন ।
এছাড়া আরো বিস্তারিত জানার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকের এই নাম্বারে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন ফোন: 02-47111141 ফ্যাক্স: 02-955759 অথবা কর্মসংস্থান ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি চলে যেতে পারেন ।
এছাড়াও কর্মসংস্থান ব্যাংকের পারসোনাল ঋণ, কম্পিউটার/ল্যাপটপ ক্রয় ঋণ, গৃহ নির্মাণ ঋণ, মোটর সাইকেল ঋণ, বিদেশে কর্মসংস্থান ঋণ কর্মসূচী, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ কর্মসূচী (SECP) প্যাকেজ রয়েছে ।
Related Word
kormosongtan bank loan, কর্মসংস্থান ব্যাংক আবেদন,কর্মসংস্থান ব্যাংক কি সরকারি,ব্যাংক ঋণ পাওয়ার উপায়, kivabe bank loan pabo,কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থান ব্যাংক শাখা,কম সুদে ব্যাংক লোন, bank loan sorkari, প্রধানমন্ত্রী লোন বাংলাদেশ, kormosongtan bank, কর্মসংস্থান ব্যাংক একাউন্ট, kormosongtan bank online loan,
ব্যাবসার জন্য লোন চাই