ডিপিএসের থেকে সেরা সুরক্ষা পলিসি সরকারি ! বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা পলিসি BankDPS vs Life Insurance

আমরা নিজেদের সুরক্ষার জন‍্য ব্যাংকে ডিপিএস করি । আমাদের মতো দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যদিনের একটি স্বাভাবিক বিষয় । একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় গড়ে প্রতিদিন ১৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ।  এই প্রেক্ষাপটে সামনে রেখে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, যা সরকারি একটা বীমা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা পলিসি নিয়ে আসলো ।  শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় পানি পথের নৌ দুর্ঘটনা,  আকাশ পথে বিমান দুর্ঘটনা,  স্থলপথে  রেল দুর্ঘটনা এবং সড়ক দুর্ঘটনা বিভিন্ন দুর্ঘটনায় দেখা যায়,  আর এ পিলিসি এজন্যই নিয়ে আসা হয়েছে ।

মাত্র ১০০ টাকায় ২ লক্ষ টাকার বীমা পলিসি, ২ লক্ষ টাকা অনেকের কাছে অনেক কিছুই না কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটা নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য ২ লক্ষ টাকা অনেককিছুই হয়ে দাঁড়াতে পারে, তাদের কর্মক্ষম ব্যক্তি যখন না থাকে । চাইলে সরাসরি সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর অফিসে গিয়ে অথবা আপনি আপনার স্মার্টফোনে বিকাশ কিংবা রকেট দিয়ে বীমা পলিসির সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে ।

সাধারণভাবে ১৬ থেকে ৭৫  বছর বয়সী মানুষজন বীমা পলিসি গ্রহণ করতে পারবেন । তবে যারা গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তাদের জন্য বয়স ১৪ থেকে ৭৫ বছর যারা রয়েছে তারা শুধুমাত্র এই পলিসি গ্রহণ করতে পারবে ।  রেঞ্জের বাইরে যাদের বয়স তার কখনোই বীমা পলিসি গ্রহণ করতে পারবেন না ।  আপনি যেকোন ধরনের বীমা পলিসি করুন না কেন বীমা পলিসির ক্ষেত্রে একটি কথা খুব ভালোভাবে মনে রাখতে হবে, বীমা পলিসির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফাঁক ফোকর থাকে অর্থাৎ বীমা কোম্পানি যারা রয়েছে তারা কিন্তু টাকা পয়সা সহজে দিতে চায় না । এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা করে আপনি যদি কোন দূর্ঘটনা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন কিংবা আপনার হাত পা চোখ বিকল হয়ে যায় শুধুমাত্র সে ক্ষেত্রে টাকা পেয়ে থাকবে বীমা গ্রহণকারী এবং নমিনি ।  বিনা গ্রহণকারীর স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হলে এক্ষেত্রে বীমা গ্রহণকারী এবং নমিনি কোন টাকা পয়সায় পাবেনা ।

যে সকল কারণে বীমা গ্রহণকারী এবং নমিনি টাকা গুলো পেয়ে থাকবে

১) কোন দুর্ঘটনায় ছয় মাসের মধ্যে এক হাত পা বা চোখ স্থায়ীভাবে সম্পন্ন বিকল হয়ে গেলে ১ লক্ষ টাকা পাবে বীমা গ্রাহক ।
২) কোন দুর্ঘটনায় ছয় মাসের মধ্যে উভয় হাত পা বা চোখ অথবা এক চা বা এক হাত স্থায়ীভাবে সম্পন্ন বিকল হয়ে গেলে ২ লক্ষ টাকা পাবে বীমা গ্রাহক ।
৩) কোন দুর্ঘটনায় ১২ মাসের মধ্যে  সম্পন্ন পঙ্গু হয়ে গেলে ২ লক্ষ টাকা পাবে বীমা গ্রাহক ।
৪) দুর্ঘটনাজনিত কারণে ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যুবরণ করলে ২ লক্ষ টাকা পাবে মৃত্যুবরণকারীর অর্থাৎ বিমা গ্রাহকের নমিনি বা যিনি উত্তরাধিকার থাকবে । নমিনি এখানে হতে পারে বিমা গ্রাহকের পিতা-মাতা ভাই-বোন স্ত্রি নিকট আত্মীয় স্বজন ।

 

কোন গ্রাহক যৌথ বীমা পলিসি গ্রহণ করতে চান সে ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১০০ টাকা এবং তার সঙ্গে সরকারি ১৫ টাকা ভ্যাট দিয়ে বীমা পলিসি গ্রহণ করতে হবে এবং প্রত্যেক বছর এই বীমা পলিসি রিনিউ করতে হবে ।  শুধুমাত্র যদি আপনি ভেবে থাকেন আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এ, একবার শুধুমাত্র বিমা পলিসি গ্রহণ করবেন । সে ক্ষেত্রে যদি মৃত্যুবরণ করে থাকেন কিন্তু বীমা পলিসির মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে যায় সেজন্য আপনি কিন্তু কোন টাকা পাবেন না । এই জন্য যত দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন প্রতি বছরে ১০০ টাকা ও এর সাথে ১৫ টাকা সরকারি ভ‍্যাট দিয়েই পলিসি আপনাকে রিনিউ করতে হবে ।

বিমা পলিসি গ্রহণ করতে যা যা লাগবে

১) যিনি বীমা গ্রাহক অর্থাৎ যিনি বীমা পলিসি গ্রহণ করবেন তার নিজের এবং তার নমিনি উভয়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, এখানে জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে সে ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদ  প্রযোজ্য ।
২)  যদি কোন গার্মেন্টসের শ্রমিক বীমা পলিসি গ্রহণ করতে চাই, সেক্ষেত্রে এটি হতে পারে সে যে গার্মেন্টসে শ্রমিক পদে চাকরি করে সেই গার্মেন্টস থেকে আনীত প্রত্যয়নপত্র ।
৩)  বিমা গ্রাহকের দুই ধরনের জড়িত শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এগুলো প্রমাণের জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের সনদপত্রে প্রয়োজন হবে যখন টাকাটা নিতে যাবেন

 

যিনি বীমা গ্রাহক তার যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় বা বেচে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তিনি কোনো টাকা ফেরত পাবেন না অর্থাৎ শুধুমাত্র বিমা পলিসি গ্রহণ করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ হয় কিংবা তার জন্য ক্ষয়ক্ষতি হয় সে ক্ষেত্রে বীমা গ্রহণ করা গ্রাহক বা নমিনি টাকা পেয়ে থাকবে

BANK DPS নাকি LIFE INSURANCE
কোন ব্যাংকে বেশি লাভ

error: Content is protected !!