esim নাকি isim ? প্রযুক্তির এই যুগে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক , কেনানা প্রায় দুই দশক ধরে আমার ফোনে একই টাইপের সিম ব্যবহার করছি । সিম কার্ডের আকার হয়তো ছোট হয়ছে , কিন্তু প্রযুক্তি বদলায়নি আর সবার শেষে আমার ন্যানো সিম পেয়েছি । Sim এর অর্থ হল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল ।
ই সিম কি ?
ই সিম মানে হল এমবিডেড সিম যার প্রস্থ ৬ মিলিমিটার, আর এটি লাগানো থাকে সরাসরি মাদারবোর্ডে । তাই এটি এক্সটা করে খুলানো বা লাগানোর দরকার হয় না, এর ফলে অনেক জায়গা বেচে যায় ফোনের । নরমাল সিম কার্ডে যেমন ডাটা সেভ করার স্পেস থাকে ঠিক তেমনি ই সিমে এই রকম স্পেস থাকে । তবে ই সিম ইন্সটলেশন প্রসেস কিছুটা ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে ।
আই সিম কি ?
আই সিম মানে হল ইন্ট্রিগ্ৰেটেড সিম, ধারণাটি অনেকের কাছে নতুন লাগতে পারে, তবে এটিকে বলা যায় ই সিমের আপগ্রেড ভার্সন । এটি যদিও এখনো একটি আর্কিটেক্ট এর ওপর বেচে আছে, চিপসেটের ডিজাইন নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান ARM এর ধারণা শুধু প্রকাশ করেছে । ইসিম মাদারবোর্ডে ইমপ্লিমেন্ট করা হলেও আইসিম ইমপ্লিমেন্ট করা হবে চিপসেট বা প্রসেসরের মাঝে, এর ফলে বোঝা যায় এর আকার কতটা ছোট হবে ।
esim বা isim কিভাবে কাজ করে ?
প্রতিটি সিমের কাজের ধরণ একই টাইপের হয়ে থাকে এমনকি নরমাল সিম কার্ডের । প্রত্যেকটি সিমের আলাদা আলাদা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি নাম্বার থাকে । এই নাম্বারটি মোবাইল দিয়ে প্রত্যেকে তাদের পছন্দের নেটওয়ার্কের কাছে পাঠালে, তখনি সিম কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের চিনতে পারে । আর এখানে যেহেতু Othentication Key থাকে তাই ভুল তথ্য পৌছানো সম্ভব হয় না । esim/isim ব্যবহারের ফলে সবার আগে 5G সেবা পাওয়া সম্ভব যদি অপারেটর 5G চালু করে, কেননা esim/isim এ সকল কম্পনেন্ট আগে থেকেই সংযুক্ত থাকে ।
ই-সিমের ব্যবহার
আমাদের পাশের দেশ ভারতেই ই-সিম প্রযুক্তির ব্যবহার কিছু দিল হল চালু হয়েছে । যেখানে শুধুমাত্র জিও, এয়ারটেল, ভোদা ফোন কোম্পানি এই সেবা দিচ্ছে । গ্রাহক চাইলে ঘরে বসে তার ফোনে ই সিম ইনস্টল করতে পারে যদি স্মার্টফোনটি তা সাপোর্ট করে ।
ই-সিমের সুবিধা
আমরা যেখানে বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন সিম বা নাম্বার ব্যবহার করি কিন্তু ই-সিমের ক্ষেত্রে সেখানে একটি নাম্বার ইচ্ছে মত ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে প্রতিনিয়তই দেখা যায় স্মার্টফোনে আমরা বিভিন্ন কোম্পানির সিম তুলে থাকি । মোবাইলে বার বার সিম তোলা বের করা অনেকের কাছে বিরক্তিকর মনে হয় । কিন্তু ই-সিম মোবাইলে থাকলে সিম খোলার প্রশ্ন আসে না, শুধুমাত্র কাস্টমার কেয়ারে একটামাত্র ফোন কল করার মাধ্যমেই আমরা যেকোন অপারেটরে যেতে পারবে । এছাড়াও যারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ বার বার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় না । মোবাইলে সিম কার্ডের জন্য আলাদা করে সল্ট না থাকলে ফোন কোম্পানি তাদের ফেলে ন গুলোকে সহজে Water Proof করতে পারে । আমাদের মতো দেশে অহ রহ স্মার্টফোন চুরি হতে দেখা যায়, সেখানে ই সিম থাকলে খুব সহজেই আমরা স্মার্টফোনকে ট্র্যাক করতে পারবো এবং কেউ যদি স্মার্ট ফোন চুরি করে সে ক্ষেত্রে সিম বদলাতে পারবে না । ই-সিম মোবাইলের মধ্যে ইনবিল্ড থাকার ফলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না, এর ফলে সিমে যতগুলা নাম্বার বা ডাটা থাকে সেগুলোও সংরক্ষিত থাকে ।
ই-সিমের অসুবিধা
প্রতিটি জিনিসের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে অসুবিধা থাকবে এটা নিঃসন্দেহে ভাবে বলা যেতে পারে । ই সিমের কার্যকারিতা নির্ভর করে সিম কোম্পানির ওপর, যদি আমাদের মত দেশে এখনি এটি চালু করা সম্ভব হয়না । বর্তমানে হাতে গোনা প্রায় ১০ দেশে ই সিম ইনষ্টলেশন প্রসেস চালু আছে । তবে ধারণা করা যায় ৫ থেকে ৮ বছর এর মাঝে আমাদের দেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে ।
ই সিম সাপোর্ট ডিভাইস
আধুনিকতার ছোঁয়া সকলের মাঝে পৌঁছে গিয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড , অ্যাপলের আইওএস ও মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ই-সিম সাপোর্ট করে ।