বাংলাদেশের পরিবেশের মধ্যে ডিএসএলার ক্যামেরা ও তার লেন্স গুলো যেখানে সেখানে ফেলে রাখা যায় না, কেননা এতে ক্যামেরা ও লেন্সে ফাংগাস দেখা যায় । কস্টের টাকা দিয়ে কেনা শখের গ্যাজেট তাড়াতাড়ি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে যাক এটা কেউ চায় না । আর তাই লেন্স ও ক্যামেরা দীর্ঘদিন সুরক্ষিত রাখার জন্য সিলিকা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে । বিশেষ করে ঘরের পরিবেশ যদি স্যাঁতস্যাঁতে ও লোনা প্রকৃতির হয়, তাহলে অবশ্যই সিলিকা জেল ব্যবহার করুন । লেন্স ও ক্যামেরার অতিরিক্ত আদ্রতা শোষণ করে সিলিকা জেল । তবে লেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে, না হলে এই জেল লেন্স ও ক্যামেরার জন্য খারাপও হতে পারে ।
এটি দেখতে কাচের মত স্বচ্ছ ও ভঙ্গুর ।সিলিকা হল অক্সিজেন ও সিলিকনের সমন্বয়, আর সিলিকা জেল সোডিয়াম সিলিকেট হতে প্রস্তুত করা সিলিকন অক্সাইডের রুপ । এটি কোন ভাবেই খাওয়া উচিত নয়, তবে খেলে যে মানুষ মারা যাবে এমনটাও নয় । এটি খেলে বেশি কিছু হলে বমি বমি ভাব হতে পারে কারো, তবে না খাওয়া উত্তম ।
আপনার ক্যামেরার জন্য কতটা সিলিকা জেল লাগবে ?
পরিবেশের ধরনের ওপর নির্ভর করে কতটুকু পাত্রের জন্য কত প্রয়োজন । তবে প্রতি ঘনমিটার বায়ুরোধী কেনটেনারের ২০০ গ্রাম যথেষ্ট । যদিও স্বাভাবিক ভাবে সিলিকা জেল এতটা ব্যবহারের দরকার হয় না, ক্যামেরা বা লেন্স সুরুক্ষিত রাখার জন্য । আমি এই সিলিকা জেল ব্যবহার করি ক্যামেরার জন্য, তাই আমার জানামতে ৭০ লিটার বায়ুরোধী কনটেইনারের জন্য ৫০০ মিলিগ্রাম ব্যবহার করি ।
সিলিকা জেল এর ব্যবহার ?
বিশেষ করে ঘরের পরিবেশ যদি স্যাঁতস্যাঁতে ও লোনা প্রকৃতির হয়, তাহলে অবশ্যই সিলিকা জেল ব্যবহার করুন । লেন্স ও ক্যামেরার অতিরিক্ত আদ্রতা শোষণ করে সিলিকা জেল । এটি ব্যবহারের সময় অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যেন এর ছোট ছোট দানা গুলো যেন লেন্স ও ক্যামেরার মাঝে না ঢুকে পড়ে । সুতি কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে সিলিকা জেলগুলো জড়িয়ে নিয়ে তার ওপর ক্যামেরা ও লেন্স রেখে কনটেইনারের মুখ ভালভাবে বন্ধ করে দিতে হবে ।
ব্যবহৃত সিলিকা জেল কি করবেন ?
স্বাভাবিক ভাবে যদি বলতে চাই, সিলিকা জেল একবার কিনে তা ব্যবহার করলে এক সময় সাদা রং ধারণ করে, মানে তা আর ব্যবহার উপযোগী থাকে না । যখন ইহা রং পাল্টাবে তখন অবশ্যই পাতিল বা কড়াইয়ে গরম করে নিলে আগের অবস্থানে ফিরে আসবে, আর তা ঠাণ্ডা হলে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে ।