প্রবাসীদের উন্নয়নে রেমিটেন্স লোন Probashi bank loan in Bangladesh City Bank

প্রবাসীদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণ সর্বোচ্চ অনেকটা খুশির সংবাদ বলা যেতে পারে । কেননা প্রবাসীরা অনেক ব্যাংক ঘুরে ঘুরে ও ঋণ পায়না । প্রবাসীদের জন্য এই প্রথম ঋণের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং পপুলার একটা ব্যাংক যেটি অনেকেই জানেন সেটা হল সিটি ব্যাঙ্ক ।

  সিটি ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে যে সকল মানুষ দেশের বাইরে থেকে টাকা পাঠায় কিংবা বলা যেতে পারে সিটি ব্যাংকের মাধ‍্যমে টাকা না পাঠিয়ে অন‍্য ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠায় তারাও এখান থেকে নিতে পারবে । যিনি প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছেন শুধু তিনি নয় তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনরাও এখানে সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন । সেটা হতে পারে প্রবাসীর নিকট আত্মীয় স্বজন অর্থাৎ তার পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্ত্রী/স্বামীও এখান থেকে গ্রহণ করতে পারবে ।

এই ঋণটি কারা নিতে পারবে ও সুদের হার কত :

 সিটি ব্যাংকের এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবে শুধুমাত্র যারা দেশের বাহির থেকে বৈধ চ্যালেনে কিংবা বৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে থাকে । আপনি সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের বাহির থেকে টাকা পাঠান । সে ক্ষেত্রে রেমিটেন্স ঋণ গ্রহণ করেন, তখন রেমিটেন্স লোনের সুদের হার যদি ৯ শতাংশ হয়, তবে যেহেতু আপনি বিদেশ থেকে সিটি ব্যাংকের মাধ্যমেই টাকা পাঠান সেখান আপনার জন‍্য সুদের ২ শতাংশ কমে যাবে । সেখানে আপনার জন‍্য এসে দাঁড়াবে সুদের হার মাত্র ৭% । আর যারা অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠান, আর সিটি ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স ঋণ নেন, সেখানে অবশ্যই আপনাকে ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে ।

যেসব খাতে এই ঋণ প্রদান করা হয় :

* গৃহপালিত পশু ক্রয় অর্থাৎ গরু ছাগল হাঁস মুরগি ক্রয় করে একটা ফ্রাম করতে চান করতে চান ।
* কৃষি উন্নয়ন এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, যদি কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ঋণের সুবিধা দেওয়া হবে ।
* গৃহনির্মাণের জন্য ঋণ মিলবে এখানে অর্থাৎ আপনার যদি নতুন করে বাড়ি নির্মাণ করতে ও আপনার বাসা মেরামত করার প্রয়োজনেও ঋণ পাবেন ।

ঋণের পরিমাণ :

 সর্বোচ্চ 10 লক্ষ টাকা এই প‍্যাকেজর আওতায় ঋণ দেওয়া হয় ।

এই ঋণ কোথায় পাওয়া যাবে :

* সিটি ব্যাংকের যেকোনো শাখায় চালু করা হয়েছে ।
* সিটি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা ।
* এমএমই যেকোন শাখা ।

 ঋণ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগতে পারে :

* আপনি যেই ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আত্মীয় স্বজনের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই একাউন্টের স্টেটমেন্ট লাস্ট ৬ মাস বা ১২ মাসের প্রয়োজন ।
* বৈধভাবে বিদেশ যেতে হবে ।
* আপনার ফটোকপি পাসপোর্ট এর ফটোকপি ।
* ভিসা বা আকামার ফটোকপি ।
* আপনি যে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন বা কাজ করতেছেন সেটার প্রমাণপত্র দিতে হবে । অর্থাৎ আপনি দেশের বাইরে যে কোম্পানিতে কাজ করেছেন, সেই কোম্পানি তো আপনাকে নিয়োগপত্র দিয়েছিল । ঐ নিয়োগপত্রের ফটোকপি দরকার হবে ।
* সেই কোম্পানি থেকে আপনাকে আইডি কার্ড  দেওয়া হয়েছে, সেই কার্ডের ফটোকপি ।
* আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
* গ্যারান্টরের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর মাঝে পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ জাতীয় পরিচয় পত্র যেকোন একটার ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
* ঋণ পাওয়ার জন্য আপনার বয়স  অবশ্যই আপনাকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক থাকতে হবে 18 থেকে ৬০ এর মধ্যেই বয়স হতে হবে ।
* আপনাকে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে ।

ঋণ পরিষধের মেয়াদ :

 এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে হয়ে থাকতে পারে । তাছাড়া ঋণ কার্যকর করা লোন ডিভিশন এর উপর ডিপেন্ড করে । তবে সর্বনিম্ন 14 কর্মদিবসের মধ্যে ঋণ পাওয়া যেতে পারে । যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ।

যোগাযোগের ঠিকানা :

City Bank Center
136, Gulshan Avenue, Gulshan-2
Dhaka-1212, Bangladesh 
Hunting numbers: 02 58813483, 58814375, 58813126 
 Fax: 02 9884446

 

Related Word : প্রবাসী লোন, city bank loan, প্রবাসীদের সহজ ব্যাংক লোন, লোন নিতে কি কি লাগে, সিটি ব্যাংক প্রবাসী ঋণ, সিটি ব্যাংক লোন ক‍্যালকুলেটর, remittance loan bd,city bank probashi loan, রেমিটেন্স লোন

6 thoughts on “প্রবাসীদের উন্নয়নে রেমিটেন্স লোন Probashi bank loan in Bangladesh City Bank”

  1. আমি একজন প্রবাসী আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমি কি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে ঢাকা থেকে লোন নিতে পারব আমার সব কাগজপত্র সব কিছুই ঠিক আছে

  2. সার। আমি সৌদিতে তাকি আমার একটা লোন দরকার। কি ভাবে পেতে পারি। একটু বলবেন। দয়া করে জানাবেন?

Comments are closed.

error: Content is protected !!