বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে, এখন ডিসেম্বর মাস । যদি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে, ব্যাংকে ডিপিএস, এফডিআর, ঋণ থাকে যদি আপনি ব্যাংকে লেনদেন করেন আপনার সেই একাউন্ট এর বিপরীতে সরকার আবগারি শুল্ক বলে, একটি শুল্ক কেটে নিবে । যেহেতু ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে অলরেডি কাটা শুরু হয়েছে ৩১ তারিখ পর্যন্ত আপনার একাউন্টটা চেক করলে বুঝতে পারবেন যে, সরকার কত টাকা কেটেছে ।
এটা ছাড়া আমরা যখন বিমানের টিকেট করি সেটা আমরা অন্তরীণ হোক অথবা ইন্টারন্যাশনাল রুট এবং সেখান থেকে আবগারি শুল্ক কাটা হয় । ব্যাংক একাউন্ট থেকে থাকলে সেক্ষেত্রে সেটা চলতি হিসাব হোক সেটা আপনার সঞ্চয়ী হিসাব হোক, আবগারি শুল্ক অবশ্যই কাটবে । আর প্রত্যেক বছরের বাজেটে আবগারি শুল্ক আপডেট হয়ে থাকে অর্থাৎ কোন কিংবা বেশী হয়ে থাকে ।
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এর মধ্যে যদি আপনার এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত যদি স্থিতি হয় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোন আবগারি শুল্ক সরকার কর্তন করবে না । কিন্তু যদি সেটা এক লক্ষের বেশি হয় তখনই আপনার অ্যাকাউন্টের লেনদেনের উপর শুল্ক প্রযোজ্য হবে । মনে রাখবেন, আবগারি শুল্ক সরকার বছরে একবারই কর্তন করে ।
Bank Account Government Charge BD
যাদের এক লক্ষের বেশি লেনদেন কিন্তু লেনদেন, যা ৫ লক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ, ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাদের জন্য শুধু মাত্র ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক । যাদের ৫ লাখের বেশি কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তাদের জন্য হচ্ছে শুধু মাত্র ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক । যাদের ১০ লাখের বেশি কিন্তু ১ কোটি টাকা পর্যন্ত, তাদের জন্য হচ্ছে শুধু মাত্র ৩০০০ টাকা আবগারি শুল্ক । যাদের ১ কোটির বেশি কিন্তু ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত, তাদের জন্য হচ্ছে শুধু মাত্র ১২,০০০ টাকা আবগারি শুল্ক । যাদের ৫ কোটির বেশি, তাদের জন্য হচ্ছে শুধু মাত্র ৪০,০০০ টাকা আবগারি শুল্ক । এর সঙ্গে ১৫ পারসেন্ট ভ্যাট কিন্তু অবশ্যই করতে হবে । এই চার্জ গুলো সকল ব্যাংকের জন্য ই প্রযোজ্য, সেটি হতে পারে ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ইত্যাদি অর্থাৎ বাংলাদেশের সকল ব্যাংকের জন্য প্রযোজ্য ।
অনেকে হয়তো বলবেন যে আমার একাউন্টে আছে মাত্র ১০,০০০ টাকা তাহলে তো আমার আবগারি শুল্ক কাটবে না। বিষয়টি যদি এমন হয়, আপনার একাউন্টে ধরলাম জুলাই মাসে কেউ বিদেশ থেকে অথবা বাইরে থেকে ২ লক্ষ টাকা ডিপোজিট হলো, তার পরের দিনে টাকা উত্তোলন করে ফেলেন এবং সেটা কাউকে দিয়ে দিলেন । এখন একাউন্টে ১০,০০০ টাকা আছে কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার একাউন্টে লেনদেন ১ লক্ষ টাকার বেশি হয়েছে । অতএব আপনার জন্য ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হবে । এই শুল্ক প্রতি বছরের বাজেটের ওপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে ।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একাউন্ট ধারীর কোনো প্রকার অনুমতি ব্যতীত কিন্তু এই টাকাটা সরাসরি কেটে নিয়ে সরকারের ফান্ডে দিয়ে দেয় । এছাড়াও ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাব হোক কিংবা চলতি হিসাব ডি পি এস, ফিক্স ডিপোজিট হোক ইত্যাদি প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্ট থেকে কিন্তু মুনাফার উপরে আবার সরকারকে কর প্রদান করতে হয়, বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার টিন সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন মুনাফার ওপর সেক্ষেত্রে ১০% না দিলে সেক্ষেত্রে ১৫% কর প্রদান করতে হয় ।