সরকারি খরচে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সাথে ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট চাকরির সুযোগ । ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায়

আইডি সার্ভিস প্রোভাইডার, কল সার্ভিস প্রোভাইডার, ই-কমার্স প্রফেশনাল প্রশিক্ষণার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ। আর গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ। ওমেন ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগ এর ছাত্রীরা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের বয়স ১৮-৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

প্রশিক্ষণার্থীদের আইসিটির মৌলিক জ্ঞান, দ্রুত শেখার ক্ষমতা এবং উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। যারা ইতঃপূর্বে এই ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন। পাশাপাশি, সুবিধাবঞ্চিত, অনগ্রসরতা, দারিদ্রতা ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ফ্রীল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সাধারণ জিজ্ঞাসা

একজন প্রশিক্ষণার্থী যেকোনো একটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন৷ একজন প্রশিক্ষণার্থী একাধিক বিষয়ে আবেদন করতে পারবে। প্রশিক্ষণের সময় সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা ও দুপুর ২ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত যেকোনো একটি শিফটে।আবেদন করার জন্য কি এনআইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইলএড্রেস। আবেদন সম্পন্ন করতে হলে অনলাইনে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, স্বাক্ষর ও ছবি আপলোড করতে। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রশিক্ষণ হবে।

প্রশিক্ষণের সময়কাল ০৫ (পাঁচ) মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণও ১ মাসব্যাপী মেন্টরশীপ। প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। সফল প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাপটপ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণে কোন ভাতা প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষনাটি সম্পূর্ণ বিনামুল্যে প্রদান করা হবে।

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর দক্ষতা অর্জিত হবে, নতুন কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি হবে অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা পর্যায়ে আইসিটি সংশিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ নারী কর্মী ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে। এতে নারীর ক্ষমতায়ন হবে এবং প্রযুক্তি খাতে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রযুক্তি জগতেরও উন্নয়ন ঘটবে।

বাস্তবায়নকাল ০১ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ খ্রিঃ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর। পৃষ্ঠপোষক ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বাস্তবায়নকারী। প্রকল্পের উদ্দেশ্য তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপন ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসাবে তাদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।

এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের নারীদের প্রশিক্ষণের ফলে সামাজিক সচেতনতা বাড়বে ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। বসবাসকারী প্রান্তিক ও অপেক্ষাকৃত কম সুবিধাভোগী নারীর কর্মসংস্থানের টেকসই ক্ষমতায়নের (হার পাওয়ার) একটি ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হবে। প্রশিক্ষণের শেয়ে নারীদের জন্য একটি প্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে সকল নারীদের একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, আইটি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে পরামর্শ গ্রহণ, নেটওয়ার্কিং, নতুন কাজের সুযোগ ইত্যাদি নিশ্চিত করা হবে। সরকারি বেসরকারি সংস্থার সাথে পার্টনারশীপ এর ফলে উপজেলা পর্যায়ের নারীদের প্রশিক্ষণ পরবর্তী কর্মসংস্থান এবং পরামর্শদানের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। এ ধরনের সংস্থা নারীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযোগ বাড়াতে ও কাজের সুযোগ করে দিতে যোগাযোগের ব্যবস্থা করবে।

যেসব উপজেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

বাংলাদেশের ৪৩টি জেলার সদর উপজেলাসহ মোট ৩টি উপজেলা (৪০x৩=১২৯টি) এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলাসহ সর্বমোট ১৩০টি উপজেলা। নরসিংদী, গাজীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, সিরাজগান্ত, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, মৌলভীবাজার,
হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, নেত্রকোণা।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স (এনএসটিএসসি)
(১১ তলা), ই-১৩/ডি, ই, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭
pdherpower@@doict.gov.bd
+88 01723-014488
www.herpower.gov.bd/
www.facebook.com/herpowerproject

error: Content is protected !!