অ্যাপিয়ারেন্স এবং আউট লুকের থেকে ডিভাইসটি জাস্ট মাইন্ড ব্লোয়িং, প্রথম দেখায় খুব স্টাইলিশ এবং গর্জিয়াস মনে হয় যদিও ব্যাকে পলিকার্বনেট । কোনটির ব্যাক প্যানেলে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে লাইট পড়লে যে রেইনবো ইফেক্ট পাওয়া যায় সত্যিই জোস । এই ব্যাপারটি ডিভাইসটির আউটলুকে করেছে আরো অনন্য । তবে কম বাজেটে ভিভোর মোবাইল কেনা আর ইমিটেশনের গয়না কেনা একই কথা, ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি ।
Vivo Y12s Processor or Hardware
১৩,০০০ টাকার বাজেট বিবেচনায় ফোনটিতে আমরা মিডিয়াটেকের জি-সিরিজের চিপসেট আশা করতেই পারি, কিন্তু এই ফোনটিতে ইউজ করা হয়েছে মিডিয়াটেকের হেলিও P35 চিপসেট, এই বাজেটের মধ্যে কখনো এটা আমারা একসেপ্ট করতে পারে না কিনা, অনেকটাই পুরনো দিনের চিপসেট এটি । মাল্টি টাচ এক্সপেরিয়েন্স যথারীতি ভালো মানের হবেনা । হেভি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্সপিরিয়েন্স নিতে চাইলে পছন্দের তালিকায় ফোনটিকে রাখা যেতে পারে । ৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম এর সঙ্গে ফোনটি আসছে, ডে বাই ডে ইউজে ফোনটি অবশ্যই পারফরম্যান্স ড্রপ করবে । এই বাজেটের মধ্যে হালকা পাতলা গেমিং করতে চাইলে রিয়েলমি C15 এর কোয়ালকম এডিশনকে পাশে রাখতে পারেন । তবে ভিভো এ ফোনটাকে যেভাবে প্রচার করছে গেমিং ট্যাট দিয়ে, সেই দিক থেকে ফ্রী ফায়ার কিংবা পাবজি খেলার মত যথেষ্টপারফরম্যান্স ফ্রেন্ডলি নয় ।
Vivo Y12s Display
ডিসপ্লে এরিয়াতে বড়ো সড়ো চীন ও বেজেলের দেখা মিলবে । 6.5″ IPS প্যানেলের HD+ রেজুলেশন ডিসপ্লে, আউটডোর ভিজিবিলিটি বুস্ট আপ করার জন্য ডার্ক মুড ও আই কম্ফোর্টে মুড । ডে টু ডে কাজ চালানোর জন্য ফেস লক থাকছেই, লো লাইটে এই ফেস লক সিস্টেমের ওপর ভরসা না করাই ভাল । ডিসপ্লেতে নেই কোন প্রটেকশন ।ডিসপ্লে কন্টেন্ট সার্পনেসর ঘাটতি থাকবে, এছাড়াও নেই কোন নটিফিকেশন লাইট ।
Vivo Y12s Main Camera & Selfie Camera
ভিভোর ফোন মানে অনেকটা কনফিউশন এর মধ্যে পড়ে যাওয়া । ফোনের পিছনের দিকে ক্যামেরা শেপ দেখলে অনেকটাই মনে হতে পারে তিনটি ক্যামেরা ইউজ করা হয়েছে । সত্যি বলতে এখানে ইউজ করা হয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা । ভিভো খুব বেশি AI বিউটি নোটিফিকেশন নিয়ে কাজ করে বিধায়, ছবি উঠালে অনেকটাই বেশি সার্পনেসের ঘাটতির লক্ষ্য করা যায়, হিউমান ফেসকে অনেক স্মুথ করে দিয়ে থাকে । 13MP মেইন লেন্স f/2.2 (1080@30fps) ও 2MP এর ডেপথ সেন্সের f/2.4 । ফ্রন্টে ইউশেপে ক্যামেরা হাউসিং করা হয়েছে । 8MP ক্যামেরায় f/1.8 (1080@30fps )
Vivo Y12s Battery
যদিও এই বাজেটে রিয়েলমি C15 এ তাকালে দেখতে পাব 6000mAh ব্যাটারী কিন্তু এ ফোনে ইউজ করা হয়েছে 5000mAh ব্যাটারি ও বক্সে 10W এ চার্জার থাকছে । ফুল চার্জ হতে প্রায় তিন ঘন্টার মত সময় লাগবে ।
Vivo Y12s Features
ডেডিকেটেড সিম স্লট, eMMC 5.0 Storage, Singel Stereo Speaker, Micro USB, 3.5mm audio Jack, bluetooth, wifi, 4G LTE ফিচার থাকছে | সিকিউরিটির জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর থাকছে, পাশাপাশি Accelerometer, Proximity, Compass থাকলেও Goyro থাকছে না ।