অবৈধ আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিবন্ধন বিটিআরসি !
আপনি এই মুহূর্তে যে স্মার্টফোনটি হাতে নিয়ে এই পোস্ট দেখেছেন সেই স্মার্টফোনটি ক্লোন অথবা আনঅফিসিয়াল হতেই পারে, এটি সাধারণ বিষয় বর্তমানে বাংলাদেশের পেক্ষাপটে । বিটিআরসি পক্ষ থেকে আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধের দাবি উঠেছে এটা আমরা সকলেই জানি । বিটিআরসির সূত্র মতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে স্মার্টফোনগুলোর নেটওয়ার্ক বন্ধ করার কথা ছিল । সরকার চাচ্ছে হাতে থাকা এই ফোনগুলো একবারে বন্ধ না করে ধাপে ধাপে রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা দিতে । যদিও বিটিআরসি বলেছিল ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের পর কেনা আন অফিসিয়াল ফোন বন্ধ করা হবে ।
যাদের হাতে সাধারণত একটি কিংবা দুটি স্মার্টফোন রয়েছে তারা স্মার্টফোনগুলো নিবন্ধনের সুযোগ পেয়ে যাবে । কিন্তু যারা সাধারণত ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে এর বেশি স্মার্টফোন দেশের বাইরে থেকে নিয়েছেন তাঁরা কিন্তু সেই স্মার্টফোনগুলো নির্বাচনের সুযোগ পাবে না । যারা বিদেশ থেকে মোবাইল এনে নিকট আত্মীয় স্বজনকে গিফট করেছেন সেইগুলোও নিবন্ধনের আওতায় আনতে পারেন ।
সর্বশেষ আপডেট অনুসারে বর্তমান সময়ে যেসব গ্রাহকদের হাতে যেসব আনঅফিসিয়াল ফোন সচল রয়েছে, যে ফোন গুলোতে বাংলাদেশি কোম্পানির সিমের মাধ্যমে বিটিআরসির নেটওয়ার্কে কানেক্ট রয়েছে সে ফোন অটোমেটিক রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে । এক্ষেত্রে গ্রাহককে কোন হয়রানির শিকার হতে হবে না । যারা নতুন করে আনঅফিসিয়াল ফোন কিনতে চাচ্ছেন, যে ফোনগুলো বাংলাদেশ অফিশিয়ালি ভাবে পাওয়া যায়না, সেসব ফোন ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির পরবর্তী সময়ে ক্রয় করে যদি বাংলাদেশের যে কোন সিম কোম্পানির নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায় সেই ফোনগুলো সচল থাকবে এবং অটোমেটিকভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে ।
এখান থেকে বোঝা যায় , বিটিআরসি ধাপে ধাপে আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোনগুলো নিবন্ধনের সুযোগ দিবে এবং এর পরবর্তী যতগুলো আন অফিসিয়াল ফোন গুলো থাকবে সেই স্মার্টফোন গুলো সাধারণত পরবর্তীতে আর নিবন্ধের সুযোগ প্রদান করবে না ।
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে ফোনে যে সিম থাকবে সে সিমের মাধ্যমে আন অফিসিয়াল ফোন রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে ? তাহলে কি পরবর্তী সময়ে অন্য কোন সিম সেই ফোনে তুললে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে নাকি যাবে না কিংবা ডাটা ইউজ করা যাবে নাকি যাবে না ?