পিন ছাড়াই এটিএম কার্ড দিয়ে লেনদেন করা যাবে ! নতুন প্রযুক্তির ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড প্রিপেইড কার্ডের সুবিধা অসুবিধা

 

এখন থেকে পকেটে কার্ড রেখেই লেনদেন করা যাবে, সেটি হোক ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড ভিসা কার্ড মাস্টার বা কার্ড এটিএম কার্ড। এটিকে বলা হচ্ছে কান্টাক্টলেস সিস্টেম যা NFC অর্থাৎ Near Fild Communication প্রযুক্তির সহায়তায় হয়ে থাকে। বহিবিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় কন্টাক্টলেস কার্ড এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

বহির্বিশ্বের দেশগুলোতে এটি খুব জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে এটি নতুন যদিও শুধুমাত্র ক্রেডিট কার্ডে এ প্রযুক্তিটি চালু রয়েছে, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই প্রযুক্তিটি বাংলাদেশের সকল ধরনের এটিএম কার্ড অর্থাৎ ক্রেডিট বা ডেবিট সকল কার্ডে চালু করতে।

 

এনএফসি কার্ড বা কন্টাক্টলেস কার্ড কি ?

আমার জানি সকল কার্ডে চিপ থাকে, আর এই চিপ প্রযুক্তির সাথে সাথে উন্নতর হচ্ছে। কন্টাক্টলেস কার্ডগুলো কম রেন্জের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ এর মাধ্যমে শপ/শোরম/দোকানের সেলস অব ভিউ পয়েন্টরের পচ মিশিনের এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে লেনদেন সম্পন্ন করে।

 

এনএফসি কার্ড বা কন্টাক্টলেস কার্ড কিভাবে কাজ করে ?

এই ধরনের কার্ডগুলো পস মেশিন থেকে চার সেন্টিমিটার দূরে ধরে রাখলেই সাথে সাথে রাখলেই পেমেন্ট করার সুবিধা প্রদান করে। এই ব্যবস্থাপনায় ইভিএম চিপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইভিএম চিপ হল এমন একটা চিপ, যা ইউরো পে, ভিসা ও মাস্টার কার্ডের উদ্যোগে নির্মিত বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর চিপ।

তবে বেশি খুশি হওয়ার দরকার নেই, কেননা সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত কার্ড পস মেশিন এর কাছে নিয়ে গেলেই অটোমেটিক পেমেন্টের সুবিধা থাকছে। তবে ৩০০০ টাকার ওপরে যখনই কোন প্রেমেন্ট হবে এ কার্ড দিয়ে সেক্ষেত্রে কার্ড পচ মেশিনের কাছে নিয়ে গিয়ে পস মেশিনে অবশ্যই পিন টাইপ করে পেমেন্ট করতে হবে।

এনএফসি কার্ড বা কন্টাক্টলেস কার্ড চেনার উপায় ?

এই ধরনের কার্ড গুলো খুব সহজেই একটি সিম্বল বা চিহ্ন চেনা যায়, যা কার্ডের দেওয়া থাকে। এই সিম্বল বা চিহ্ন হয়ে থাকে ওয়াইফাই এর চিন্হের মত, যা নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন

 

এনএফসি কার্ড বা কন্টাক্টলেস কার্ডের সুবিধা

এই ধরনের কার্ডের যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে অপর পৃষ্ঠে অসুবিধা রয়েছে।
কোন ভিড় সম্পন্ন দোকানে সেলস অফ ভিউ পয়েন্টে পচ মেশিনে নিয়ে গিয়ে, পচ মিশিনে কার্ড সায়াইপ ছাড়াই সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা পর্যন্ত প্রেমেন্ট করে ভিড় এড়িয়ে বের হয়ে আসতে পারবেন।

এই ধরনের পেমেন্ট মেথড টি বর্তমান সময়ের অন্যতম নিরাপদ। কেননা এই মেথডে পেমেন্ট করলে কখনোই পিন দিতে হয় না। যার ফলশ্রুতিতে কার্ডের পিনও সুরক্ষিত থাকে এবং কেউ দেখতে পায়না।

 

এনএফসি কার্ড বা কন্টাক্টলেস কার্ডের অসুবিধা

কার্ডের বিশেষ অসুবিধার মধ্যে রয়েছে যা, যদি কার্ডটি হারিয়ে যায় যিনি কার্ডটি পাবেন তিনি কার্ডের মালিকের অজান্তেই বিভিন্ন শোরুম বা দোকানে গিয়ে ৩ হাজার টাকা করে পেমেন্ট করার সুবিধা পাবেন প্রতিবার।

তবে প্রতিবার যখনই প্রেমেন্ট হবে সে ক্ষেত্রে সাথে সাথে কার্ড এর বিপরীতে থাকা নাম্বারে ফোনে এসএমএস আসবে। তৎক্ষণাৎ যদি ব্যাংকের কল সেন্টারে ফোন করে জানাতে পারেন যে কার্ডটি হারিয়ে গিয়েছে এবং কেউ আপনার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করছে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই কার্ডের প্রেমেন্ট হোল্ড করে দেবে। সেক্ষেত্রে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট সিস্টেম ঐ কার্ডে কাজ করবেনা। আর আপনার টাকা পয়সাও অর্থ সেফ থাকবে।

 

বাংলাদেশ এনএফসি বা কন্টাক্টলেস প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ

বাংলাদেশেও বর্তমান সময়ে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে। তাইতো বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড বা প্রিপেইড কার্ড অর্থাৎ সকল ধরনের এটিএম কার্ডে এ প্রযুক্তি চালুর নির্দেশনা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে মোট কার্ডধারী গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৮৬ হাজার ৬৩টি প্রায়। যার মধ্যে ডেবিট কার্ড ধারীর সংখ্যা প্রথম অবস্হানে, ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা দ্বিতীয় অবস্থানে এবং প্রিপেইড কার্ডের সংখ্যা তৃতীয় অবস্থানে।

 

 

Related Keyword
best atm card, কন্টাক্টলেস এটিএম কার্ড সুবিধা অসুবিধা, nfc atm card bd, এনএফসি কার্ড, প্রিপেইড কার্ড, এটিএম কার্ড , bank atm card,ডেবিট কার্ড,best dual currency card bangladesh, মাস্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ,ভিসা কার্ড, পাসওয়ার্ড ছাড়া এটিএম কার্ডের লেনদেনে সুবিধা,wifi card, পিন ছাড়া এটিএম কার্ড দিয়ে পেমেন্ট এর উপায়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ডুয়েল কারেন্সি কার্ড, banking,

 

error: Content is protected !!