পলিটেকনিকে চান্স প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
পলিটেকনিক ভর্তি- পলিটেকনিক ভর্তির ফলাফল প্রকাশের পর যারা চান্স পেয়েছেন এবং যারা ওয়েটিং এ আছেন সবারই কয়েকটি বিষয় জেনে রাখাটা জরুরি। বাংলা কাটুন দেখব তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে বা কোন সিদ্ধান্তটা সঠিক হবে তা বোঝাটা সহজ হয় চলুন এরকম কিছু ব্যাপার জেনে আসা যাক।
পলিটেকনিকে চান্স প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ায় বেশ কয়েকটি পর্যায়। এর মধ্যে যারা প্রথমবারে চান্স পায় তাদের মধ্যে অনেকেই পছন্দের ডিপার্টমেন্ট পেলেও পছন্দের ইনস্টিটিউট পায়না। আবার অনেকেই পছন্দের ইনস্টিটিউট পেলেও পছন্দের ডিপার্টমেন্ট পায় না । এর মধ্যে যারা পছন্দের ডিপার্টমেন্টে যায় তাদের জন্য মাইগ্রেশন অপশনটি বন্ধ করে দেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ পরবর্তীতে পছন্দের ইনস্টিটিউট পেল ডিপার্টমেন্ট পাবে কিনা সে নিশ্চয়তা নাই । তাই মাইগ্রেশন অফ করে ভর্তি নিশ্চিত করে ফেলাই ভালো। অপরদিকে যারা পছন্দের ডিপার্টমেন্ট পায়নি তাদের জন্য মাইগ্রেশন একটি ভালো সুযোগ। কারণ কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ছেন এটার চেয়ে কোন ডিপার্টমেন্ট পড়ছেন এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাইগ্রেশন অন থাকলে পরবর্তীতে আপনার পছন্দের ডিপার্টমেন্ট সুযোগ পেতে পারেন আপনি।
পলিটেকনিক ভর্তি নিশ্চায়ন
ভর্তি নিশ্চায়নের পদ্ধতিটি বেশ সহজ। ভর্তিচ্ছুকরা যেখান থেকে ভর্তি ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন সেখানে ভর্তি নিশ্চায়নের নীতিমালা নিয়ে একটি লিংক আছে। সে লিংকে প্রবেশ করলে ভর্তি নিশ্চয়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যাবে।
তবে ভর্তি নিশ্চায়ন মানে কিন্তু ভর্তি হয়ে যাওয়া নয়। এটি অনেকটা বুকিং দেয়ার মত। আপনি যে পলিটেকনিকে যে ডিপার্টমেন্ট এ চান্স পেয়েছেন ভর্তি নিশ্চায়ন ফ্রী দেয়ার মাধ্যমে আপনি সেটা নিজের জন্য বরাদ্দ করে রাখলেন, ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। পরবর্তীতে সেইইনস্টিটিউটে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিলেই কেবল ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
পলিটেকনিক অপেক্ষমান তালিকা
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলাফল পর্যায়ক্রমে পাঁচবার দেয়া হতে পারে। সুতরাং যারা প্রথমবারের ওয়েটিং লিস্টে আছেন, তাদের আরও চার বার সুযোগ আসতে পারে। এই কারণে যারা ওয়েটিং লিস্টে আছেন তাদের মাইগ্রেশন অন থাকলে পরবর্তীতে নিজের পছন্দের ডিপার্টমেন্ট অথবা ইনস্টিটিউটে চান্স পেতে পারেন।
পলিটেকনিক অটো মাইগ্রেশন
পলিটেকনিকে ভর্তির আবেদন করার সময় নিজের পছন্দের ক্রম অনুযায়ী টেকনোলজি এবং ইনস্টিটিউটের লিস্ট দেয়ার একটি সুযোগ থাকে। যার ফলে প্রথমবার কোন একটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হবার পরও পরবর্তীতে পছন্দের ক্রমের উপরের দিকে কোন প্রতিষ্ঠান এবং টেকনোলজিতে চান্স পেলে ভর্তি হতে পারে এই প্রক্রিয়াটি হল মাইগ্রেশন ।
অনেকেরই ধারণা মাইগ্রেশন এবং অটোমাইগ্রেশন একই। এ ধারণাটি সামান্য ভুল। আবেদনের পর যখন একজন শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তখন মাইগ্রেশনের অপশনটি অটোমেটিক্যালি অন হয়ে যায়। যার কারণে একে অটোমাইগ্রেশন বলা হয়।
অটো মাইগ্রেশন অন হওয়ার ফলে পরবর্তীতে আপনার পছন্দের কোনো প্রতিষ্ঠান বা টেকনোলজিতে যদি আপনি সুযোগ পেয়ে যান তবে আপনি সেখানে ভর্তি হতে পারবেন। তবে তা হবে আপনার পছন্দের ক্রমের উপরের দিকের কোন প্রতিষ্ঠান ও টেকনোলজি। এবং আপনি যদি পছন্দের ক্রোমের প্রথমটাতে চান্স পেয়ে যান তবে মাইগ্রেশন সুযোগ আর আপনার থাকবে না। কারণ অটো মাইগ্রেশন করা যায় কেবল ক্রোমের উপরের দিকের অপশনগুলোতে, নিচের দিকে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই টেকনোলজি এবং প্রতিষ্ঠান লিস্ট ব্যাপারে বেশ সাবধান হতে হবে আপনাকে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে অপেক্ষমান তালিকা হতে ভর্তির করা হবে।