জি একদম ফ্রী তে সর্বোচ্চ ৮০ লক্ষ টাকার বীমা সুবিধা দিচ্ছে, যেটি মিট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে চুক্তি করে এবি ব্যাংক প্রদান করছে । আর এখানে কোন টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে না, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বীমা নিতে গেলে সেখানে মাসে বা বছরে একটি এমাউন্ট জমা দিতে হয়, কিন্তু এবি ব্যাংক এই সার্ভিস ফ্রীতে দিচ্ছে । যারা সাধারণভাবেই ব্যাঙ্কে ফিক্স ডিপোজিট করেন, এফডি করেন, মেয়াদী হিসাব করেন তাদের জন্য কয়েকদিন আগে এবি ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে আসলো । সর্বনিম্ন পাঁচ লক্ষ টাকা ডিপোজিট করতে হবে । আপনি যদি এবি ব্যাংকে এক বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বা এর বেশি ডিপোজিট করেন সেক্ষেত্রে আপনার হয়ে এবি ব্যাংক, আমেরিকার মেট লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানিকে প্রিমিয়াম দিবে । আবার আপনি যদি এ টাকা প্রতি বছরে নগদায়ন না করেন, সেক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রতি বছর অটোমেটিক রিনিউ হবে । এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট বা এফডিআর করলে যেমন মুনাফা পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি ভাবে এবি ব্যাংক আপনাকে মুনাফা দিবে ।
অর্থাৎ আপনি যদি আপনার ৫ লক্ষ টাকা এক বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন, তবে আপনি এই সুবিধা পাবেন সেক্ষেত্রে আপনার মূল টাকা কিন্তু কোন প্রকার রিক্স নেই । আপনি চাইলে যেকোন সময় আবার এই টাকাটা কিন্তু ঠিকই উঠাতে পারবেন । তারা মূলত শর্ত বলে দিয়েছে এভাবে, যদি ডিপোজিট ১০ লক্ষ টাকার বেশি করে, সেক্ষেত্রে গ্রাহক স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে পরিবার ২০ লক্ষ টাকা পাবে সর্বোচ্চ । আর গ্রাহকের যদি দুর্ঘটনাবশত মৃত্যুবরণ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে পরিবার সর্বোচ্চ ৮০ লক্ষ টাকা পাবে । তাহলে গ্রাহকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এই যে ১০ লক্ষ বা এর বেশি টাকা ডিপোজিট করলে সেক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা কি পাবেন না ? অবশ্যই পাবে এবং তার সঙ্গে এবং তার সঙ্গে যে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের টাকাটা রয়েছে সেটা কিন্তু এক্সট্রা করে দিচ্ছে । এছাড়া যদি ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে ডিপোজিট করা হয়, সেই ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাবসত গ্রাহকের মৃত্যুবরণ করলে তার ফ্যামেলি পাবে ৫০ লক্ষ টাকা আর স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তার ফ্যামিলি পাবে ১০ লক্ষ টাকা সর্বোচ্চ । যদি দেখা যায় মেয়াদ শেষ হোওয়ার টাকাটা তুলে ফেলেন সেই ক্ষেত্রে এই ইন্সুরেন্স এর আওতাভুক্ত হবেন না ।
চাইলে এবি ব্যাংকের আন্ডারে এবি নিশ্চিত হিসাব একাউন্ট খুলতে পারেন । এই ব্যাংকে টাকা রাখা কি সম্পূর্ণভাবেই নিশ্চিত থাকা যাবে ? যেহেতু ব্যাংকটি চতুর্থ প্রজন্মের মানে পুরোনো একটি ব্যাংক, তাই ভরসা রাখা যেতেই পারে । যদিও বর্তমান সময়ে ব্যাংকের ঋণের সুদের হার ৯%, এখানে এবি ব্যাংকে পাঁচ লক্ষ টাকা বা তার বেশি টাকা ডিপোজিট রাখলে ৫.৫০% হারে ইন্টারেস্ট দিবে ।
বর্তমান সময়ে গ্রাহকদের মধ্যে কিছুটা ভুল ধারণা রয়েছে বিশেষ করে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার ব্যাপারে, গ্রাহকরা মনে করে ব্যাংক দেউলিয়া হলে শুধু মাত্র এক লক্ষ টাকা পাবে তার যদি এর চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা ডিপোজিটে থাকে তা দিবে না । নিয়ম অনুসারে কোন ব্যাংক দেউলিয়া ঘোষণা করতে হলে অনেক কয়েকটা স্টেপ অতিক্রম করতে হয় । ব্যাংক দেউলিয়া হলে প্রথমে গ্রাহক এক লক্ষ টাকা পায়, এর পরবর্তীতে সেই ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একজন হেড নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি ব্যাংকের সম্পূর্ণ সম্পত্তি হিসাব করার পরে পরবর্তী যদি ব্যাংকের সম্পত্তি থাকে, সেগুলো বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা গুলা পরিশোধ করা হয় । যদি ব্যাংকের সম্পত্তি আনুপাতিক হারে কম থাকে সেই ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে গ্রাহকদের মধ্যে কিন্তু টাকা পরিশোধ করা হয় ।
কোন গ্রাহক যদি এই সুবিধা নিতে চাই সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে অবশ্যই একটি এফডিআর, ফিক্স ডিপোজিট কিংবা মেয়াদী হিসাব করতে হবে । সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা দিয়ে একটা একাউন্ট করতে হয় এবি ব্যাংকে । অনেকেই বলতে পারেন যে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০০ টাকা দিয়ে একাউন্ট করলে হয়, একটা কথা মনে রাখতে হবে ব্যাংক একজন মানুষের স্ট্যাটাস এর উপর বেস করে অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা প্রদান করে থাকে । এমনও ব্যাংক আছে যে সকল ব্যাংকে কিন্তু এক লক্ষ টাকা দিব একাউন্ট খুলতে হয় বাংলাদেশে । যে পরিমাণ টাকাটা দিয়ে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয়, একাউন্ট বন্ধের পরে অবশিষ্ট টাকা ঠিকই পেয়ে যাবেন । গ্রাহকদের ব্যাংক মুখি করার জন্য বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক এমনি ফ্রিতে ইন্সুরেন্স সুবিধা প্রদান করছে । দেখা যাক এটা কতটাই বা ভাল গ্রাহকের মধ্যে সাড়া ফেলতে পারে ।