আমাদের দেশে যখন কোন মানুষ ব্যাংক একাউন্ট খুলবে বলে মনে করে তারা ব্যাংকে এসেই ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা বলে আমি একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাই কি কি ডকুমেন্টস লাগবে বলুন দিচ্ছে অ্যাকাউন্ট টা খুলে দিন। এটা শুধু পারসোনাল একাউন্টের জন্য ঘটে এমন না, অআবার ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে এসে বলে স্যার আমি ব্যবসা করি, আগে ব্যাংকে লেনদেন এর দরকার হতো না, এখন বিভিন্ন জায়গায় লেনদেন এর ডকুমেন্ট চাচ্ছি, লোন নিব ভাবছি ভবিষ্যতে আমায় একটা একাউন্ট খুলে দিন।
উভয় ক্ষেত্রে ব্যাংকার রা তাদের মত করে একাউন্ট খুলে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে অনেক সময় গ্রাহকদের হেনস্তার ও শিকার হতে হয়, অনেক সময় চার্জ কিছু কিছু একাউন্টে চার্জ ও বেশি হয়, যা একাউন্ট ধারী কতৃক সুফলের পরিবর্তে অসুবিধা বয়ে আনে।
১) কোন ব্যক্তি যেমন চাকুরীজীবী, কায়িক পরিশ্রমী মানুষ, স্টুডেন্ট, কৃষক ইত্যাদি তারা যদি সঞ্চয় করার চিন্তা করেন ও তা সূদূর ভবিষ্যতে যেকোন সময় টাকা উত্তোলন করবেন, প্রয়োজন সাপেক্ষে তাদের জন্য সেভিংস একাউন্ট অ্যাপ্রিপিইয়েট। সেভিংস অ্যাকাউন্টে থাকা স্থিতির উপর ভিত্তি করে গ্রাহকরা নির্দিষ্ট সময় পরপর মুনাফা পেয়ে থাকেন। যেহেতু নির্দিষ্ট ইনকামের মানুষেরা এই সেভিংস একাউন্ট খুলে থাকেন, তাই এই একাউন্ট এর বিপরীতে লিমিট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
২) পরিশ্রমী মানুষ তারা যদি মনে করে অল্প অল্প করে মাসে মাসে টাকা জমাবো ৫ বছর বা ১০ বছর বা ১৫ বছরেও সেই টাকা তে হাত দিব না, ৫ বছর বা ১০ বছর বা ১৫ বছর পর যখন এই টাকা মোটা অঙ্কের হবে আর তা দিয়ে বড় কিছু বা ভাল কিছু ব্যবসা করবো তাদের জন্য dps একাউন্ট অ্যাপ্রিপিইয়েট।
তবে এ অ্যাকাউন্ট থেকে যেকোনো সময় চাইলে টাকা উত্তোলন করা যায়না । মেয়াদ শেষে টাকা উত্তোলন করতে হবে, না হলে মেয়াদপূর্তির আগে একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে হবে এ একাউন্ট এর বিপরীতে । সেভিংস একাউন্ট থেকে কিছুটা বেশি মুনাফা অর্জন করা যায় এই একাউন্ট থেকে।
৩) আপনাকে কাছে যদি একগুচ্ছ পরিমাণ টাকা চলে আসে কোন সোর্স থেকে এবং টাকাগুলো বাসায় রাখলে চুরি হতে পারে বা হারিয়ে যাবার রিস্ক থাকে। এজন্য এই টাকা গুলো বাসায় না রেখে ব্যাংকে FDR একাউন্ট করাই নিরাপদ। অনেক সময় বিভিন্ন ভাবে অনেক টাকা চলে আসে, যেমন জমি বিক্রির টাকা বা ব্যবসা থেকে অনেক টাকা লাভ করেছেন বা মেসিনারিজ বিক্রির টাকা, যদি কোন নির্দিষ্ট সময় পর এই টাকা গুলো উঠিয়ে নিতে চান তাদের জন্য FDR অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রিপিইয়েট ও লাভজনক ।
এফডিআর একাউন্ট করতে গেলে অনেক সময় ব্যাংকের কর্মকর্তা গ্রাহকদেরকে সেভিংস একাউন্ট করতে বলেন। তবে এফডিআর একাউন্ট তো নিজেই একাউন্ট, সে ক্ষেত্রে সেভিংস একাউন্ট করার কোন প্রয়োজনই নেই। জাস্ট গ্রাহকদের একাউন্ট থাকলে খরচ বেশি হবে এতে ব্যাংক লাভবান হবে। তাই এরকম যদি কোন ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী আপনাকে বলে থাকে, তাহলে সরাসরি ব্যাংকের ম্যানেজারের রুমে চলে গিয়ে অভিযোগ করলে সমাধান পেয়ে যাবেন অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে মেইল বা ফোন করে অভিযোগ করতে পারবেন
৪) ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী ব্যক্তি, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ, কোম্পানি, ফার্ম এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য অসংখ্য লেনদেন করার প্রয়োজন পড়ে থাকে, এদের জন্য কারেন্ট বা এসএনডি একাউন্ট অ্যাপ্রিপিইয়েট। দিনে মাসে বছরের যেকোনো সময় যতবার ইচ্ছা এই একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করা যায় আবার ডিপোজিট করা যায়। এই ধরণের অ্যাকাউন্টের অর্থের উপর কোন সুদ দেওয়া হয় না।
৫) এসএনডি হিসাব একটি বিশেষ ধরণের হিসাব যদি এটি সেভিংস একাউন্টের মত। তবে কিছু কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে টাকা উত্তোলনের জন্য ৭ দিনের নোটিশ দরকার হয়ে থাকে। কারণ snd অর্থ short notice deposit account, যেখানে চলতি হিসাবের মতো লেনদেন অনুমোদন করা হয়। কিন্তু এই হিসাবের বিপরীতে সুদ/মুনাফা দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রতিদিন লেনদেন অনুমোদন করা হয়।
Related : ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, which bank account is appropriate for me, ব্যাংক একাউন্টের সুবিধা,fdr, student account, dps scheme, কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট খুলবো, কোন ব্যাংক একাউন্টে টাকা রাখলে বেশি লাভ, dps account, ব্যাংক একাউন্ট কি, ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার , what is saving account, ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলুন প্রবাস থেকে, savings account vs current account,কীভাবে নতুন ব্যাংক হিসাব খুলবেন, bank account, fixed deposit account, valo bank bd, best bank
Jibon