দুর্নীতির কারণেই মূলত এই ব্যাংকগুলোতে বড় আকারে মূলধন সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের ১১ ব্যাংকে সামগ্রিকভাবে ৩২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। যার মাধ্যমে উঠে এসেছে বহু বছরের অনিয়মের কারণে ব্যাংকগুলোর আর্থিক পরিস্থিতির দুর্বলতার চিত্র। এসব ব্যাংকের মধ্যে সরকারি ব্যাংক রয়েছে পাঁচটি, বিশেষায়িত দুটি এবং বেসরকারি খাতের রয়েছে চারটি।
সরকারি পাঁচটি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি যথাক্রমে অগ্রণী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ২ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা এবং সোনালী ব্যাংকের ২২৭৩ কোটি টাকা।
বেসরকারি চারটি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি যথাক্রমে ন্যাশনাল ব্যাংক মূলধন ঘাটতি ১৬৯৩ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১২৭১ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ১৬৬৮ কোটি টাকা ও পদ্মা ব্যাংকের ৪২৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি রয়েছে ১৩ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ২২৪৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। নিয়ম অনুযায়ী খেলাপির বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে গিয়ে মূলধন ঘাটতি হয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোতে এ হার বেশি। এর মূল কারণ এসব ব্যাংকে সুশাসনের অভাব রয়েছে। তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জুন মাস শেষে মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি ১১ ব্যাংক।
সেরা ব্যাংক, মূলধন ঘাটতিতে ১১ ব্যাংক, কোন ব্যাংক দেউলিয়া হবে, টাকার ঘাটতি, দুর্বল ব্যাংক, সংবাদ, Bangladesh News, fdr, দেওলিয়া, Bangla Video, dbbl, বাংলাদেশের কোন ব্যাংক বন্ধ, ব্যাংকে টাকার ঘাটতি, brac bank,সহজ ঋণ খবর, সরকারি ব্যাংক, বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক, bank news bd