শেয়ারবাজার ব‍্যবসায় কোটিপতি । শেয়ার বাজার পর্ব ১

শেয়ারবাজারের প্রতি মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। ফলে অনেকেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেন না। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ অন্য যেকোনো বিনিয়োগের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি হয়তো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। তাহলে তো কথাই নেই। আপনার অর্থ আপনি কোথায় কীভাবে ব্যবহার করবেন, সেটা একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত। তবে আপনার কষ্টের টাকা ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে খাটানোর আগে জানা দরকার শেয়ার বাজারের টুকিটাকি কিছু বিষয়, যা আপনার সিদ্ধান্ত নিতে ও শেয়ারবাজার বুঝতে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে।


শেয়ার কী
শেয়ার হচ্ছে কোম্পানির মালিকানার অংশ। অবশ্য পুঁজিরও অংশ বটে। এই শেয়ার বেচাকেনা করা যায়। এখানে বিনিয়োগ করে দু ভাবে লাভবান হওয়া যায় । একটি হচ্ছে শেয়ারের দাম উঠা নামার কারণে, আর অপরটি হচ্ছে কোম্পানির বণ্টিত মুনাফার অংশ। যা লভ্যাংশ হিসেবে দেয়া হয়। শেয়ার মূলত দু ধরনের
প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি। বিনিয়োগকারীরা কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করলে কয়েকটি
বিষয় জানতে হবে। কোনো কোম্পানি আর্থিকভাবে কত বেশি শক্তিশালী তা কোম্পানির মৌলভিত্তি দিয়ে জানা যাবে।


ধরা যাক, ‘এ’ একটি কোম্পানি। সেটির মালিকানার অংশীদার ১০ জন। আর কোম্পানিটির মূলধন ১ লাখ টাকা। তার মানে ১০ জন মালিকের প্রত্যেকে কোম্পানিটিতে ১০ হাজার টাকা করে মূলধন বিনিয়োগ করেছেন। এখন কোম্পানিটি বা তার ১০ মালিক চাইলে তাঁদের মালিকানার অংশটিকে শেয়ারে রূপান্তর করে নিতে পারেন। তবে কোম্পানিটির কতগুলো শেয়ারে এই ১০ জনের মধ্যে বণ্টন করা হবে, তা নির্ভর করবে ওই শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু কত হবে তার ওপর। অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা হলে সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক মালিক ১০০টি করে শেয়ার পাবেন। এ ধরনের শেয়ারেরই লেনদেন হয় শেয়ারবাজারে ।


প্রাইমারি শেয়ার
বাজারে সাধারণত একটি কোম্পানি প্রথমে প্রাথমিক বা প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের একটা অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালু থাকে। কোম্পানি যখন তার শেয়ারটি মার্কেটে ছাড়তে চায়, তখন সে অভিহিত মূল্যের সঙ্গে প্রিমিয়াম যুক্ত করে একটি নির্দিষ্ট টাকায় শেয়ারটি বিক্রি করতে চায়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদন দিলে কোম্পানিটি শেয়ার কেনার দরখাস্ত আহ্বান করে। যাকে বলা হয়। ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (আইপিও) বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব। অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু হচ্ছে শেয়ারের মূল দাম। যদি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হয়, প্রিমিয়ামসহ শেয়ারটির দাম ৫০ টাকা হলেও অভিহিত মূল্য ১০ টাকার ওপর ভিত্তি করে লভ্যাংশ দেওয়া হয়।


সেকেন্ডারি শেয়ার
আইপিওতে আবেদন করে প্রাথমিক শেয়ারের মালিক হওয়া যায়। সেই কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তাদের শেয়ারের লেনদেন শুরু হয়। এ সময় লটারিতে পাওয়া প্রাথমিক বা প্রাইমারি শেয়ার যখন কেউ বিক্রি করে দেয়, তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিণত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে ব্যবসা করতে হলে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করতে সেকেন্ডারি মার্কেটই ভালো জায়গা।

 

Related
শেয়ারবাজার কি, share marketing, শেয়ারবাজার শেখার উপায়, share bazar tips,শেয়ার বাজার বেসিক, share babsai kotipoti, শেয়ার বাজারে ধনী হওয়ার উপায়, শেয়ার বাজারে টাকা কামানোর উপায়, banking, dhaka exchange, শেয়ার বাজারের মাধ্যমে ধনী হবার উপায়, math, সেকেন্ডারি শেয়ার, basic stock market, শেয়ার কি, শেয়ার বাজারে ট্রেডিং,বাজারে টাকা কামানো, প্রাইমারি শেয়ার, শেয়ার বাজার এনালাইসিস

 

error: Content is protected !!