যারা ভাবছেন নতুন আনঅফিসিয়াল ফোন কিনবেন ? যাদের হাতে আনঅফিসিয়াল ফোন রয়েছে সেগুলো কি হবে ? আবার অনেক প্রবাসী রয়েছে যারা বিদেশ থেকে ফোন কিনে এনে দেশে আত্মীয়দের গিফট করেছেন ? বিটিআরসি কিন্তু সত্যিই একটা দুর্দান্ত ভালো সংবাদ দিয়েছে ।
আপনার হাতের আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোন কি তাহলে বন্ধ হতে যাচ্ছে ?
বর্তমান সময়ে আমাদের হাতে যেগুলো আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোনগুলো রয়েছে এবং এই স্মার্টফোনগুলোতে দেশীয় কোম্পানির যে সিমের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক এ যুক্ত রয়েছে, এই সিমটা যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে আন অফিসিয়াল স্মার্টফোনটি অটোমেটিক তার নামে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে । অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে গ্রাহককে কোন প্রকার হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না, অটোমেটিক আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোনগুলো রেজিস্ট্রেশন হয়ে বৈধ হয়ে যাবে ।
যারা ভাবছেন নতুন করে আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোন কিনবেন তাদের জন্য বিষয়টি কি ?
অনেক স্মার্টফোন রয়েছে আপনার কিংবা আমার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশে এই স্মার্টফোনটি অফিশিয়ালি ভাবে রিলিজ করা হয়নি, মোটকথা বাংলাদেশে ঐ ফোনটি আন অফিসিয়াল নামেই বিবেচিত হবে । বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে যারা ২০২১ সালের ১ এ জুনের আগে নতুন আনঅফিসিয়াল স্মার্টফোন কিনে তাতে বাংলাদেশী কোম্পানি সিম অন করে নেটওয়ার্কে যুক্ত হয় সেই স্মার্টফোন গুলো অটোমেটিক ভাবেই নিবন্ধিত হয়ে যাবে । কিন্তু ১ এ জুন বা এর পরবর্তী সময়ে থেকে যদি কেউ আন অফিসিয়াল স্মার্টফোন ক্রয় করে সেই সব ফোন নিবন্ধিত হবে না ও তা অবৈধ ফোন হিসেবে বিবেচিত হবে ।
Phone বিদেশ থেকে আনা কিংবা উপহারের ফোন বৈন্ধ করার নিয়ম বিটিআরসি
প্রশ্ন আসতে পারে ফোনে যে সিম থাকবে সে সিমের মাধ্যমে আন অফিসিয়াল ফোন রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে ? তাহলে কি পরবর্তী সময়ে অন্য কোন সিম সেই ফোনে তুললে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে নাকি যাবে না বা ডাটা ইউজ করা যাবে নাকি যাবে না ?
সোজা উত্তর অবশ্যই যাবে, অর্থাৎ পরবর্তীতে অটোমেটিক রেজিস্ট্রেশন হোওয়া ফোনে যেকোন কোম্পানির সিম ব্যবহার করা যাবে । আন অফিসিয়াল ফোনটির সিম এক এ যে নাম্বারটি থাকবে সেই নাম্বারে মাধ্যমিক রেজিস্ট্রেশন হবে ।
এছাড়াও ইতিমধ্যে অনেক প্রবাসী দেশে স্মার্টফোন পাঠিয়েছে কিংবা নতুন করে স্মার্টফোন পাঠাতে যাচ্ছে?
ইতিমধ্যে প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে বিদেশে হতে কেনা যে স্মার্টফোন গুলো পাঠিয়েছে, সেই স্মার্টফোনগুলো অটোমেটিক ভাবেই সচল থাকবে এবং নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে এবং সেগুলো অটোমেটিক ভাবেই নিবন্ধিত হবে । কিন্তু নতুন করে প্রবাসীরা বা বিদেশ হতে কেউ ফোন আনে, সেক্ষেত্রে ফোনগুলো অবশ্যই বিমানবন্দরে নেমে একটা নির্দিষ্ট কাউন্টার থাকবে এবং সেই কাউন্টারে ফোনের আইএমইআই নাম্বার প্রদান করতে হবে, তাহলে সে ফোনটি রেজিস্ট্রেশন হবে এজন্য কোন টাকা লাগবে না । একজন প্রবাসী শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে বাংলাদেশ দুইটি নতুন ফোন আনতে পারবে । দুইটির বেশি ফোন আনলে কাস্টমে অবশ্যই শুল্ক পরিশোধ করে নিয়ে আসতে হবে ।
আনঅফিসিয়াল ফোন অফিসিয়াল করার উপায় ?