মানুষের শান্তিপূর্ন ভাবে বসবাস করার মৌলিক চাহিদা হল মনের মত বাড়ি । আবাসন খাতে বিশেষ করে শহর ও মহানগরী অনেক সমস্যা রয়েছে । কম আয়ের ফলে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্তদের পক্ষে স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণ সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে । এই জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড আবাসন খাতে বিনিয়োগ করছে, হাউজ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমের মাধ্যমে । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ হোম লোন বা বাড়ি তৈরির লোনের না দিলেও, লোনের পরিবর্তে তারা বিনিয়োগ করে ।
কোন এলাকায় বিনিয়োগ/লোন দেওয়া হবে :
পৌরসভা এলাকা ।
জেলা এলাকা ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা।
সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা।
খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকা।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা।
=
ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের পদ্ধতি/লোনের পদ্ধতি
শিরকাতুল মেলক (এইচপিএসএম) ।
ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ/লোন দেওয়া হয়
১) গ্রাহকদের নিজের জমিতে নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে
২) অ্যাপার্টমেন্ট/ফ্ল্যাট ক্রয়
৩) নির্মাণাধীন বাড়ি সংস্কার করে সম্প্রসারণের জন্য
৪) রেডিমেড বাড়ি ক্রয়
৫) অ্যাপার্টমেন্ট/ফ্ল্যাট নির্মাণে
ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগের/লোনের পরিমাণ
ক) গ্রাহকের মালিকানাধীন জমিতে বাড়ি/বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যাংক টাকা দিবে সেই বিল্ডিং নির্মাণের জন্য মোট যে ব্যয় বা খরচ হবে সেই ব্যয়ের ৬০% সর্বাধিক, যা সর্বোচ্চ ৩০.০০ লক্ষ টাকা । অর্থাৎ গ্রাহকের এবং ব্যাংকের ইনভেস্টমেন্ট এর অনুপাত হবে ৬০:৪০
খ) নির্মাণ হয়েছে এমন বাড়ি/ অ্যাপার্টমেন্ট / ফ্ল্যাট / ক্রয়ের জন্য : মোট ক্রয়ের ওপর ৬০% সর্বাধিক বিনিয়োগ করবে যা ২০ লক্ষ হতে পারে । অর্থাৎ গ্রাহকের এবং ব্যাংকের ইনভেস্টমেন্ট এর অনুপাত হবে ৫০:৪০ ।
ইসলামী ব্যাংকের লোনের/বিনিয়োগের সময়কাল
সর্বাধিক ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হয় । তবে ব্যাংকের নির্দিষ্ট বিভাগ চাইলে এটি কম বেশি করতে পারে ।
ইসলামী ব্যাংক ঋণ নাকি সুদ মুক্ত ঋণের বিকল্প নিন আপনিও
ব্যাংকের সম্পত্তি পুনরুদ্ধার/লোন শোধের নিয়ম
সুদ ব্যাংক সূমহে লোনের টাকা নেওয়ার পর থেকে সাথে সাথে লোনের ওপর সুদের ওপর চড়া ইন্টারেস্ট রেট বসিয়ে, ঐ সময় থেকে কিস্তির হিসাব নিকাশ শুরু হয়, তবে ইসলামী ব্যাংক সমহে নিয়ম ভিন্ন । গ্রাহকের বাড়ি নির্মাণের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মাসিক কিস্তিতে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক লোন দেয় নাকি বিনিয়োগ করে ?
ইসলামী ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে বিনিয়োগ করে ইসলামী শরীয়তের উপর ভিত্তি করে, তারা যখন কোন খাতে বিনিয়োগ করে সে ক্ষেত্রে গ্রাহককে সরাসরি হাতে টাকা দেয়না । গ্রাহকের যে অনুপাত যে জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো কিনে দিয়ে থাকে ইসলামিক ব্যাংক । অর্থাৎ বাড়ি তৈরীর জন্য যে অনুপাত এর রড সিমেন্ট বালি দরকার তা ইসলামী ব্যাংক সরাসরি কিনে দিবে গ্রাহকদের কখনোই গ্রাহককে টাকা দিবেনা ।
জমির প্রাথমিক দাখিলতব্য দলিল ও কাগজপত্রের তালিকা
১) যে জমিতে বাড়ি নির্মিত হবে সেই বাড়ির অবশ্যই
ইন্জিনিয়ার নকশা তৈরি করে নিতে হবে ।
২) যে এলাকার যে জমিতে বাড়ি নির্মাণ হবে তা সেই এলাকার যথাযত কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ রাজউক, সিডিএ, আরডিএ, কেডিএ ইত্যাদি দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে ।
৩) বায়া দলিল, জমির মূল মালিকানা দলিল ।
৪) CS, RS, SA, BS খতিয়ানের জাবেদা নকল;
৫) জেলা/ সাব রেজিষ্ট্রী অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের NEC বা নির্দয় সনদ ।
৬) DCR, খাজনা রশিদ ও নামজারী খতিয়ান;
তবে ব্যাংক চাইলে আরাে পেপারস চাইতে পারে ।
বিনিয়োগের বিপরীতে ব্যাংকের সিকিউরিটি
১) গ্রাহকের নিকটবর্তীরা অর্থাৎ তার স্ত্রী, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান অর্থাৎ ছেলে বা মেয়ে। যারা আর্থিক ভাবে সামর্থ্যশীল ।
২) ব্যাংকের পাওনা টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের কাছে বাড়ি জিমি/ অ্যাপার্টমেন্ট ও বিল্ডিংয়ের বন্ধক থাকবে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ।
সুদ নাকি প্রত্যাবর্তনের হার
বিভিন্ন সুদি ব্যাংক লোন দিলে সেখান থেকে সুদ নিয়ে থাকে কিন্তু ইসলামী ব্যাংক সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়ে থাকে । এইখান থেকে যদি আপনি বিনিয়োগ নিয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে এর পরিবর্তে ব্যাংক কিভাবে লাভ নিবে কিংবা রিটার্ন নিবে টাকা এটা নিয়ে অনেকের মাঝে প্রশ্ন থাকে ? সর্বসাকুল্যে এখানে রিটার্নের হার ৯% এর মধ্যে হয়ে থাকে যদিও এটা আনুমানিক হিসাব ।
আবেদনের প্রাথমিক যোগ্যতা
২৩ থেকে ৬৫ বছরে সুস্থ মস্তিষ্কের বাংলাদেশী নাগরিক (দেশী বা প্রবাসী)
কে বা কারা এ প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে
১) প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আর্মি/নৌ বাহিনী/সামরিক বাহিনী) কর্মকর্তারা ।
২) আর্থিকভাবে সামর্থ্য শীল ব্যবসায়ী ।
৩) আধা-সরকারী , সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত
প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মকর্তারা ।
৪) প্রতিষ্ঠিত গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার, প্রতিষ্ঠিত পেশাদার
ও ডাক্তারা ।
৫) বিদেশে অবস্থারত পেশাদাররা যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, শিক্ষক ইত্যাদি ।
৬) মাল্টিন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল, বিদেশ দূতাবাসসমূহ ইত্যাদির বাংলাদেশী কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য পাবলিক লিমিটেড সংস্থার অধিকারীরা ।
৭) প্রতিষ্ঠিত সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষকরা ।
আবাসন খাতে বিনিয়োগ প্যানেজ নাম
Islami Bank House Investment Scheme
যারা ঝণের পরিবর্তে বিনিয়োগ নিতে আগ্রহী তারা নিজ এলাকার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের শাখার মাধ্যমে ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবে । ঋণ আবেদনের প্রস্তাবটি যদি ব্যাংকের কাছে বাস্তবভাবে লাভজনক মনে হয়, তা পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাংক বিনিয়োগ অনুমোদন করবে। কোনও প্রকার বিনিয়োগের আবেদন অনুমোদন করা বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার ব্যাংকের আছে ।
ব্লগের মালিকের অনুমতি ছাড়া পোস্ট সরাসরি কপি করে ফেসবুক বা ইউটিউব বা অন্য ব্লগে পোস্ট করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, সাবধান
House loan