এখন আমরা আর বলতে পারবো না ব্যাংক সমূহ ছয় নয় নীতিতে চলে। আগে বিশেষ করে দেখতে পাইতাম ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে হয়তো বা নয় পারসেন্ট ইন্টারেস্ট সর্বোচ্চ দিত। আর ব্যাংকে ডিপোজিট করতে গেলে ছয় পার্সেন্ট। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। এর ফলশ্রুতিতে এফডিআর বা সাধারণ ডিপোজিটে ইন্টারেস্ট রেট বাড়ছে জুলাই থেকে। আগে যে ইন্টারেস্ট রেটটা ছিল ছয় নয়। তো এর মধ্যে যা থাকতো তা ব্যাংক প্রফিট আকারে প্রকাশ করতো।
১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের বিপরীতে বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি ব্যাংক গড় তিন শতাংশ ইন্টারেস্ট বাড়াবে। ট্রেজারি বিলের বিপরীতে জুলাই থেকে ইন্টারেস্ট ১০.১২ শতাংশ অর্থাৎ ব্যাংক ঋণের ইন্টারেস্ট পরিমান ১০.১২%।এসএমই ও ভোক্তা ঋণের তদারকি খরচের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো আরও ১ শতাংশ বেশি সুদ আরোপ করতে পারবে। ১৮২ দিনের ট্রেজারি বিলের বিপরীতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইন্টারেস্ট গড় শতাংশ পাঁচ ইন্টারেস্ট বাড়ছে অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের ইন্টারেস্ট পরিমান ১২.১২%।
ব্যাংকে যখন লিকুইডিটির অভাব পড়ে সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে রেফার মাধ্যমে ধার নেয়। আগে রেপোর ইন্টারেস্ট রেট ছিল ৬ শতাংশ যা বর্তমান সময়ে ০.৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলো লিকুইডিটির অভাব পড়লে যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে বেশি সুদে ধার নিবে সেও তো বোঝাই যাচ্ছে এখন থেকে ব্যাংকের গ্রাহকদের কাছ থেকেই এই টাকা তুলে নিবে।সেই সাথে রিভার্স রেপো হার ০.২৫% বাড়ানো হয়েছে। আগে যা ৪.২৫% ছিল তা হতে বৃদ্ধি পেয়ে তা হবে ৪.৫০ শতাংশ।
বাজারে পরিলক্ষিত করতে পারবেন দ্রব্যমূল্যের প্রচুর মূল্য বৃদ্ধি। মূল্যস্ফীতি যদি সরকারি হিসাবে নয় দশমিক চার ছয় বা নয় দশমিক ছয় চার পার্সেন্ট আশেপাশে রয়েছে। যদিও বেসরকারিভাবে এই মূল্যস্ফীতির বারো শতাংশ ক্রস করেছে। জুলাই থেকে ব্যাংক ঋণের ইন্টারেস্ট রেট বাড়ার কারণে ব্যাংকের ডিপিএস ও এফডিআর এর ক্ষেত্রেও ডিপোজিট রেট বেড়ে যাবে।