Fast Charger Technology Bangla
ফাস্ট চার্জিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় চার্জিং প্রযুক্তির নাম । ফোনের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি যত বাড়ছে তার সাথে বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো উন্নততর চার্জিং প্রযুক্তি আনছে । কখনো ফাস্ট চার্জার, কুইক চার্জার, সুপার ফাস্ট চার্জার, ভুক চার্জার, সুপার ভুক চার্জার আর এই প্রতিটি চার্জারের টেকনোলজিও ভিন্ন , এর সাথে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ডাটা কেবল ফাস্ট চার্জের জন্য । ফাস্ট চার্জার কি আসলেই ফোনের ক্ষতি করে, নাকি ফাস্ট চার্জার ফোনের জন্য ভালো ? আর যেসব ফোন ফাস্ট চার্জার সাপোর্ট করে না সেসব ফোনে ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করলে সুবিধার চেয়ে কি অসুবিধা বেশি ? সব কিছু শেয়ার করবো ।
প্রতিটি চার্জিং টেকনোলজির পাওয়ার সাপ্লাই হয়ে থাকে ভিন্ন নিয়মে , তবে ফর্মুলা শুধু হয় P=VI । মানে ভোল্ট আর কারেন্টর গুণফল হল পাওয়ার । নরমাল চার্জার গুলোর ভোল্ট হয় 5V ও কারেন্ট হয় 2A ।
ফাস্ট চার্জারের ক্ষেত্রে শুধু ভুক চার্জার ছাড়া সকল চাজিং টেকনোলজি ভোল্ট কে বাড়িয়ে রেখেছে, কিন্তু ভুক চার্জার টেকনোলজি ভোল্টের মান কম রেখে, কারেন্টের মান বাড়িয়েছে ।
ফাস্ট চার্জার কিভাবে তাড়াতাড়ি ফোন ফুল চার্জ করে ? Vooc Charger Vs Fast Quick Charger
কেননা ভোল্টের মান যত বেশি হবে ফোন তত তাড়াতাড়ি চার্জ হবে, আর এতে ফোন বেশি হিট প্রোডিউস করবে না । কেননা কারেন্টের মান কম মানে ইলেকট্রন ফ্লো তত কম করবে, এতে ইলেক্ট্রনের মাধ্যমে ঘর্ষণ কম হবে, আর হিট ও প্রোডিউস কম করবে । তবে কারেন্টের মান যত বেশি হবে, ভোল্টের মান কম হলে ফোন দ্রুত চার্জ হলেও হিট বেশি প্রোডিউস করবে । ফলে ফোন ব্লাস্ট হবে , কেননা বেশি কারেন্ট মানে বেশি ইলেকট্রন । কোন আবদ্ধ স্পেসে যত বেশি ইলেকট্রন থাকবে তত বেশি হিট প্রোডিউস করবে । এই তো গেল ফার্স্ট চাজিং এর আসল রহস্য । 15W, 25W, 18W, 27W, 20W অর্থাৎ এই সব ফার্স্ট যে চার্জারে এমন টেকনোলজি গুলো রয়েছে ।
তবে এই ভোল্ট বা কারেন্ট এর মান ইচ্ছে মত কম বেশি করা যায় না । এছাড়াও প্রতিটি চার্জিং টেকনোলজিতে সিকিউরিটি লেয়ার ব্যবহার করা হয় দুর্ঘটনা থেকে বাচানোর জন , সেটি সম্মন্ন একটি ভিন্ন টপিক । তবে 30W, 45W, 50W, 65W বা 125W এর ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন টেকনোলজির চার্জিং প্রসেস ইউজ করা হয়েছে । কেননা এসব ভুক চার্জারে কারেন্টের মান বেশি থাকে, ভোল্টের মান কম । যেখানে কারেন্ট বেশি ফ্লো করলেও যেহেতু হিউস পরিমাণ মোটা ডেটা কেবল ব্যবহার হয় তাই ইলেকট্রিক বেশি ফ্লো হলেও ইলেক্ট্রনের ঘর্ষণে ফোন বেশি হিট হয় না , তাই ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না । এছাড়াও সেফটি ফিল্টার গুলো কোম্পানি ব্যবহার করে থাকে । কারণ বেশি মোটা ডেটা কেবল ব্যবহারের ফলে ইলেক্ট্রনের ফ্লো বেশি মাত্রার ঘর্ষণ হওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে । এখানে বলে রাখা ভাল 120W এর চার্জার ২০ মিনিটে ফোন ফুল চার্জ করে ।
Fast Changing Technology
সাধারণ নরমাল ফোনের চার্জারের ক্ষেত্রে ডাটা কেবল মোটামুটি চিকন হয়ে থাকে, তবে ভুক চার্জার গুলোতে ক্যাবল গুলো যথেষ্ট মোটা হয়ে থাকে । সকল ফাস্ট চার্জার ও ভুক চার্জারের ক্ষেত্রে ফোন ফাস্ট চার্জের জন্য চার্জার, ডেটা কেবল ও ফোনের সার্কিট মেচ করলে বা মিলে গেলেই ফাস্ট চার্জ হয়ে থাকে, অর্থাৎ একটি ফোনের ফাস্ট চার্জর অন্য কোন ফোনে সাপোর্ট করবে না কখনো, সেখানে ফোনটি নর্মাল চার্জ নিতে থাকবে । তবে এখানে প্রশ্ন থাকে যে ফোনটা যে, কখনো ব্লাস্ট হতে পারে ? একটা ফোনের চার্জার দিয়ে অন্য ফোন চার্জ করলে ? হ্যাঁ সেটি ঘটতে পারে , কেননা স্মার্টফোন ম্যানুফেকচার কোম্পানিগুলো কিন্তু সাজেস্ট করে যে স্মার্ট ফোনের চার্জার যেটি সেটির মাধ্যমে চার্জ করতে । তাই এই দিক থেকে সাবধান থাকা উচিত আমাদের সকলের ।
Fast Charger With Battery Issue
স্মার্টফোন কোম্পানি তাদের বিঙ্গাপনে বলে থাকে যে ৩০ বা ৪০ মিনিটে ফোনের ৫০% বা ৮০% চার্জ হবে, কিন্তু এর পরবর্তীতে বলে না যে ৩০ বা ৪০ মিনিটের পর ফোন ফুল চার্জ হবে কি হবে না । আসলে চার্জিং টেকনোলজি ভেদে ৫০% বা ৮০% চার্জ হোওয়ার পর ফোন নরমাল ভাবে চার্জ নিতে থাকে শুধুমাত্র সেফটির জন্য যাতে হিট বেশি না হয় । কেননা প্রথমেই বলেছি যে হিট বেশি হলে ফোন ব্লাস্ট হোওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । আর শীতল স্পসে ফাস্ট চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করলে খুব তাড়াতাড়ি চার্জ হয়, উষ্ণ জায়গায় থেকে, আর এটি করা হয় সাধারণত ফোনের সুরক্ষার জন্য ।