nibondhon naki nid diye passport ?
বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র নাকি জন্ম নিবন্ধন ? কোনটি দিয়ে করা উচিত । এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন আজকে আশা করি সকল প্রশ্নের সমাধান পেতে চলেছেন ।
বর্তমান পেক্ষাপটে এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এখন বাংলাদেশে প্রায় ৬৪ জেলাতে ই-পাসপোর্ট সেবা বা কার্যক্রম চালু হয়ে গিয়েছে । যদিও স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র যারা লেবার ভিসায় বিদেশ যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে ম্যান পাওয়ার কার্ডের জন্য তাদের সমসায় পড়তে হচ্ছে । কিন্তু কিন্তু যারা অন্যান্য বিষয়ে দেশের বাইরে যাবে তাদের জন্য কোন সমস্যা নেই ।
জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদ দিয়ে ই-পাসপোর্ট
অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে ই পাসপোর্ট ইস্যু করার নিয়মটা কিছুটা ভিন্ন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু বলতে এখানে ১৮ বছরের কম এদের বুঝানো হয় । যেহেতু এদের জাতীয় পরিচয় পত্র নেই সেই জন্য অনলাইন বেস সার্টিফিকেট জন্ম নিবন্ধন এবং তার পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজনে অবশ্যই হবে । অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সেজন্য অবশ্যই পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার টি উল্লেখ করে দিতে হয় । এখানে যাদের বয়স ১৮বছরের কম তাদেরকে শুধু মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেওয়া হবে ।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি দিয়ে ই-পাসপোর্ট
বয়স যদি ১৮ থেকে ২০ এর মধ্যে হয়, সেক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যেকোনো একটির প্রয়োজন হবে । পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন নেই এখানে । যদি কেউ ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেছে এবং অনলাইন বেস জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়েছে সেক্ষেত্রে সেটি দিয়েও এখানে আবেদনের সুযোগ রয়েছে ।
বয়স যদি ২০ বছরের অধিক হয়ে থাকে, পাসপোর্টের আবেদনের জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে । সেটি অনলাইন বেস হলেও কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে, ২০ এর বেশি বয়স হলে কখনোই জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা সম্ভব নয় । যাদের বয়স ৬৫ বছর বা এর চেয়ে বেশি তাদেরকে ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার ই পাসপোর্ট প্রদান করা হয় ।
বয়স যদি ছয় বছরের কম হয়ে থাকে এজন্য পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি দাখিল করতে হয় ।
আমার বয়স ২৩ বছর। আমি ভোটার বায়োমেট্রিক ছবি তুলেছি। ৩ মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখনো ম্যাসেজ কিংবা অনলাইন কপি পাইতেছি না। আমার পাসপোর্ট করা জরুরী। সমাধান থাকলে জানাবেন।
আমার বয়স ১৯ বছর ৭ মাস,ভোটার আইডি কাডের এসএমএস আসতেছে না,এখন কি আমি ডিজিটাল জন্মনিবধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে পারবো
সরকার একটা ভাল উদ্যেগ নিয়েছে তাতে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষের এনআইডি সমস্যা। যেমন কারো নাম ভুল, আবার জন্ম তারিখ ভুল, আবার দেখা যায় পিতা/মাতার নাম ভূল । এটা কিন্তু কোন গ্রাহকের কোন ভুল নয়। এটা হলো ফরম কম্পিটারে এন্ট্রি দেওয়ার সময় ভুল করেছে। তার কারনে মানুষ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে আছে। আমি নিজে এনআইডি সংশোধনের জন্য দিয়েছি প্রায় 1 বছর। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী যা যা কাগজপত্র দেওয়ার তাও আমি জমা দিয়েছি কিন্তু আমার এনআইডি এখনো সংশোধন হয়নি। যার কারনে আমি পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারতেছিনা। আমার মনে হয় বাংলাদেশের নাগরিককে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত যাতে এনআইডি সহজ ভাবে সংশোধন করা যায়। তারপর না হয় পাসপোর্ট অফিস সেই নিয়ম রাখতে সক্ষম হবে।
বতর্মানে জন্ম নিবন্ধন না থাকায় আমার বাচ্চার Passport করতে পারছি না, এর কি কোন উপায় আছে?? বয়স ২ বছর