সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা লাগাম টেনে ধরার পর এবার বাংলাদেশ সরকার প্রবাসীদের যত ধরনের বন্ডে বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে সেই সকল বন্ডে বিনিয়োগসীমা কমে দিয়েছে অর্থাৎ লাগাম টেনে ধরেছে বলা যেতেই পারে ।
যদিও মুনাফার রেট পূর্ববর্তী যেরকম ছিল এখনো সেই রকম আছে, সঞ্চয়পত্র ভেদে ১১ থেকে ১১.৭৬ পার্সেন্ট এর মধ্যে এবং এবং প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের যেসকল বন্ড রয়েছে তো সেখানে মুনাফার ৭.৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১২ পার্সেন্ট পর্যন্ত ।
সঞ্চয়পত্র ও প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ সীমা
পূর্ববর্তী সঞ্চয়পত্র ভেদে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র মিলে ৫০ লক্ষ টাকা একক নামে এবং যৌথ নামে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন । পেনশনারদের জন্য সাধারণত সরকার এক্সট্রা কিছু নির্ধারণ করে দিয়েছে সেখানে একক নামে ১ কোটি এবং যোগ্যতম যৌথ নামে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা ইনভেস্টমেন্ট করা যায় । ঠিক তেমনি ভাবে এখন কিন্তু প্রবাসীদের জন্য যত ধরনের বিনিয়োগের ব্যবস্হা রয়েছে, সেই সকল বিনিয়োগের কিন্তু বিনিয়োগ সীমা সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটা ইউ এস ডলার প্রিমিয়ার বা ইউএস ডলার ইনভেসমেন্ট বন্ড বা ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড । অর্থাৎ এই সকল বন্ড মিলে আপনি সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন, যদি সাধারণ লেভেলের প্রবাসী হয়ে থাকেন ।
এ বিষয়টিকে সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য একটি উদাহরণ দিলেই খুব সহজ হবে আপনারা বুঝতে পারবেন । সঞ্চয়পত্র ভেদে একক নামে আপনি সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ এবং যৌথ নামে ১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন, যদি একজন ৪৫ লক্ষ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনেন বাকি ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আপনি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন অথবা বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্র যেটা রয়েছে সেটা কিনতে পারবেন । ঠিক তেমনিভাবে সাধারণ প্রবাসীরা থেকে বন্ডে বিনিয়োগ করতে চায় ওয়েদার অফ ডেভলপমেন্ট বন্ড যদি একজন ৫০ লক্ষ টাকার কিনে বাকি ৫০ লক্ষ টাকা সে চাইলে ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড কিংবা ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড কিনতে পারবে । অর্থাৎ এই তিনটা বন্ড মিলে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার কিনতে পারবে তার কখনোই বেশি নয়, অন্যদিকে ৫০ লক্ষ টাকার যদি কেউ ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড কিনে সে বাকি ৫০ লক্ষ টাকার ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্টে বন্ড কিনতে পারবেন ।
পোস্ট অফিসের যে সঞ্চয় স্কিম রয়েছে সেখানে কিন্তু সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা সরকার কমে দিয়েছে একক নামে আপনি ১০ লক্ষ এবং যৌথ নামে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন । যেটা পূর্ববর্তীতে ছেলে একক নামে ৩০ লক্ষ এবং যৌথ নামে ২০ লক্ষ টাকার কিনতে পারতো ।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ মুনাফা, ইউ এস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে সর্বোচ্চ ৭.৫০ শতাংশ মুনাফা ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট পয়েন্ট এর সর্বোচ্চ ৬.৫০ শতাংশ মুনাফা বর্তমানে দেওয়া হয়স্বাভাবিকভাবে বন্ডে বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে সরকার দিয়েছে, প্রবাসীদের এখানে দেখা যাবে যে একদম লেবার শ্রেণীর বা মিড লেভেলের প্রবাসী যারা রয়েছে তারা তেমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না । যারা সাধারণত ইউকে বা ইউএস থাকে তারা কিন্তু বেশি পরিমাণে বন্ড কিনতে ছিল এবং ইউকে ইউএস এর মত দেশগুলোতে কেউ কিন্তু লেবার ভিসায় যায় না । সামগ্রিকভাবে বলা যেতে পারে সাধারণ প্রবাসীরা এতটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না । কেননা একজন সাধারণ প্রবাসী তার জীবদ্দশায় ২০ বা ২৫ বছরের প্রবাস জীবনে কখনই এক কোটি টাকা ইনকাম করতে পারে না, আর একজন সাধারন প্রবাসী হয়তোবা সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে এই সকল বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকে