বিদেশে কাজের উদ্দেশ্য বৈধ পথে গিয়ে, যারা কোম্পানি কতৃক হয়রানি শিকার বা প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরত এসেছেন, নিজে সাবলম্বী হতে দেশে এসে কোন ব্যবসায়ী প্রকল্প শুরু করছেন বা করবেন বলে ভাবছেন তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে সরকারি চাকুরে গ্যারান্টর ছাড়াই।
কোন ধরনের সার্ভিস চার্জ নেই পুনর্বাসন ঋণের। পুনর্বাসন এই ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ হয়ে থাকে।
তবে বিনা জামানতে এই ঋণ সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ৩ লাখ টাকার বেশি ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এ ঋণ দেওয়া হয় জামানতের বিনিয়োগ। তবে ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে এই ঋণের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতার স্থাবর সম্পত্তি ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।
সকল কাগজপত্র জমা দেবার ১০ দিনের মাঝেই প্রবাসীরা এই ঋণ পাবে। মাসিক কিস্তিতে পরিশোধসূচী অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ করতে হবে গ্রাহকদের। ঋণের সুদের হার ৯% সরল সুদ ।
কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে, জেনে নিন
১) বিনামূল্যে নিকটবর্তী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা হতে ঋণ আবেদনের ফরম সংগ্ৰহ করে পূরণ করতে হবে। তবে যে এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেই এলাকায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ঋণ আবেদন করা যাবে।
২) বিদেশ ফেরত আসার সময় এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের যে পেজে সিল দেওয়া হয়েছে, সেই পেজের ফটোকপি।
৩) ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও পাসপোর্ট/ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সম্বলিত পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সনদপত্র
৪) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের ট্রেড লাইসেন্স থাকলে, সেটির ফটোকপি দিতে হবে। যদি হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স না থাকে, তবে তা দিতে হবে না।
৫) ঋণ পরিশোধে সক্ষম যেকেউ জামিনদার হতে পারবে। জামিনদারের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পাসপোর্ট/ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সম্বলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র। অর্থাৎ ঋণ আবেদনকারীর পিতা বা মাতা বা ভাই বা বোন বা স্বামী বা স্ত্রী নিকটতম আত্মীয় গ্যারান্টর বা জামিনদার হতে হবে।
৬) ব্যবসা বা প্রকল্পের ঠিকানা, ব্যবসা বা প্রকল্পের ২ বছরের আয়-ব্যয় বিবরণী সহ ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
৭) বিদেশ হতে ফেরত এসেছেন এর সকল পেপারসের ফটোকপি লাগবে। অর্থাৎ ভিসা, পাসপোর্ট, কোম্পানির নিয়োগ নামা, বিমানের টিকেটের ফটোকপি ইত্যাদি।
৮) ব্যবসা বা প্রকল্পের স্থান নিজের হইলে মালিকানার দলিলপত্র দিতে হবে। ব্যবসা বা প্রকল্পের স্থান ভারা হলে চুক্তিপত্রের ফটোকপি ও Letter of Disclaimer দিতে হবে।
৯) ব্যবসা বা প্রকল্পের নামে আগে কোন ব্যাংক বা এনজিও হতে ঋণ নিয়ে থাকলে, এর ঘোষণাপত্র দিতে হবে।
১০) ঋণ আবেদনকারীর কাছ থেকে নিজ নামে ৩টি স্বাক্ষরিত চেকের পাতা ও ব্যাংক হিসাবের বিবরণী জমা দিতে হবে।
১১) ঋণ আবেদনকারীর যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতা থাকলে প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের ফটোকপি দিতে হবে। তবে প্রশিক্ষণ/অভিজ্ঞতা না থাকলে সার্টিফিকেটের ফটোকপি জমা দিতে হবে না।
মিটন বিশ্বাস