ব্যাংক একাউন্ট কতদিন ব্যবহার বা লেনদেন না করলে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় এবং সেক্ষেত্রে একাউন্টে কিভাবে সচল করা যায় ?
সাধারণত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেভিং একাউন্ট তার পরবর্তীতে এসএনডি একাউন্ট এবং তার পরবর্তীতে এই রয়েছে কারেন্ট একাউন্ট। তবে এই একাউন্ট বন্ধ হওয়ার পূর্বে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যা ইনপারেট বা অপ্রচলিত এবং অন্যটি ডরমেন্ট। ইসলামিক ব্যাংকসহ সকল তফসিলি ব্যাংকের সকল প্রকার চলতি, short Notice Deposit (এসএনডি) এবং সঞ্চয়ী হিসাব যে নামেই অভিহিত করা হােক না কেন সকল একাউন্টের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য।
এসএনডি এবং চলতি বা কারেন্ট হিসাবে যদি ৬ মাস লেনদেন করা না হয় তাহলে সেটিকে ধরে নেওয়া হয় অপ্রচলিত একাউন্ট হিসাবে এবং সেভিং অ্যাকাউন্টে যদি ১৮ মাস লেনদেন না করা হয় সে অ্যাকাউন্টে কে ধরে নেওয়া হয় অপ্রচলিত একাউন্ট হিসেবে। তবে লেনদেন অর্থ কি?
তবে এসএনডি এবং চলতি বা কারেন্ট হিসাব যদি ৬ মাস এর অধিক ব্যবহৃত না হয় তাহলে সেটিকে ধরে নেওয়া হয় ডরমেন্ট একাউন্ট হিসাবে ও সেভিং অ্যাকাউন্ট যদি ১৮ মাস এর বেশি ব্যবহার না করা হয় সে অ্যাকাউন্টে কে ধরে নেওয়া হয় ডরমেন্ট একাউন্ট হিসেবে।
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, নাবালক এবং আদালতের অর্থ সংক্রান্ত হিসাবসমূহ ডরম্যান্ট হিসেবে গণ্য হবে না।
অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট ভেদে ৬ মাসের অধিক বা ১৮ মাসের অধিক লেনদেন না হলে সেই একাউন্টগুলোর সাময়িকভাবে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয় একাউন্টগুলোকে বন্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী লেনদেন বলতে চেক, গ্রাহকের ডেবিট নির্দেশনা, মোবাইল রিচার্জ/টপআপ বা ডেবিট বা ক্রেডিট এরূপ কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা বিল পে বা যে কোন অ্যাপ (App) ব্যবহারের মাধ্যমে হিসাবের লেনদেনকে বুঝাবে।
এখন কথা হল এসএনডি হিসাব, চলতি বা কারেন্ট হিসাব ও সেভিংস একাউন্ট গুলোকে কিভাবে আবার সচল করা যাবে ?
ডরম্যান্ট হওয়া চলতি, এসএনডি এবং সঞ্চয়ী হিসাব পুনরায় চালু করার জন্য গ্রাহককে ঐ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। উক্ত আবেদনে হিসাব বা একাউন্ট নাম্বার উল্লেখ পূর্বক গ্রাহকের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংক কর্তৃক ডরম্যান্ট হিসাব আবারো চালু করে দিবেন।
ডরম্যান্ট হওয়া চলতি, এসএনডি এবং সঞ্চয়ী হিসাবটি লেনদেনবিহীনভাবে ০৫ (পাঁচ) বছর অতিক্রান্ত হলে গ্রাহকে নতুনভাবে KYC (Know Your Customer) ফরম পূরণ করতে হবে। আসলে KYC কি ? যখন আমরা ব্যাংক একাউন্ট নতুনভাবে খুলে থাকি সেক্ষেত্রে আমাদের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাপেক্ষে ফরম পূরণ করতে হয়। বলতে পারেন ফরম পূরণের ঐ পদ্ধতি হচ্ছে KYC ধাপ।
যে কোন হিসাব ডরম্যান্ট হিসেবে চিহ্নিত করার ০১ মাস পূর্বে ঐ ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকে এসএমএস, ইমেইল,পত্র যােগাযােগ, ব্যাংকের নিজস্ব রিলেশনশীপ অফিসার বা অন্য যে কোন মাধ্যমে উক্ত হিসাবধারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবহিত করতে হবে বা জানাতে হবে।
Related Word : ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হলে কিভাবে চালু করবো , ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম, বন্ধ ব্যাংক একাউন্ট চালু করার নিয়ম, how to open bank account bd, কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়,bank account close, ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হলে কত টাকা পাব ?ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে,সুইচ ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে,ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার দরখাস্ত,bank account bondho hoye gese, bank account, saving account, current account, snd account,যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম,ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম,ডরমেন্ট একাউন্ট,ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডার কি,bangladesh bank, bd
1 thought on “ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে ? ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হলে কিভাবে চালু করবো ?ব্যাংকএকাউন্ট বন্ধ হলে করণীয় ?”
Comments are closed.