বিকাশ একাউন্টের পিন লক বা বিকাশ একাউন্টের পিন ব্লক বা বিকাশ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে যা করণীয় হবে, তা হল প্রথমেই যার এনআইআইডি দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা তাকে দিয়ে বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিতে হবে, তবে সে ক্ষেত্রে তিনি যদি আপনার নিকটে না সেক্ষেত্রে কি করবেন সেটাও জানিয়ে দিবো।
যে নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং যার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা তাকে দিয়ে বিকাশের কাস্টমার কেয়ার লাইনে ফোন দিবেন। সে ক্ষেত্রে ২ মিনিট বা ৩ মিনিট আপনাকে কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করা লাগতে পারে ফোন কলে।
কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে যখনই কথা বলবেন তাকে আপনার সমস্যা কলেজে বলবেন আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন ব্লক হয়েছে নাকি লক হয়েছে ? সে ক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি যার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার তার ইনফরমেশন গুলো জানতে চাবে।
বিকাশ পিন ব্লক বা পিন লক হলে বা পিন ভুলে গেলে ? যে ইনফরমেশন জানতে চাইবে সে ইনফরমেশনগুলো হতে পারে এ রকম :
অ্যাকাউন্টধারীর পুরো নাম কি?
অ্যাকাউন্টধারীর পিতার নাম ?
অ্যাকাউন্টধারীর মাতার নাম ?
অ্যাকাউন্টধারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ডের নাম্বার ?
একাউন্ট ধারীর জন্ম তারিখ, জন্ম সাল, জন্ম মাস?
একাউন্টধারীর বিকাশ একাউন্টে সর্বশেষ কত ব্যালেন্স রয়েছে?
একাউন্টধারী সর্বশেষে কত টাকা ট্রানজেকশন করেছেন ?
একাউন্টধারী সর্বশেষে কিরকম ট্রানজেকশন করেছেন, সেটি টপ-আপ বা পেমেন্ট বা ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট ?
এ সকল প্রশ্নের উত্তর যথাযথ দিতে পারলেই, সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টধারীর বিকাশ নাম্বারে একটি টেম্পোরারি পিন পাঠানো হবে বিকাশ এর পক্ষ থেকে।
পরবর্তীতে একাউন্টধারী *274# ডায়েল করে সে টেম্পোরারি পিন দিতে হবে, দেওয়ার পরবর্তীতে সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নতুন করে ৫ ডিজিটের পিন দিয়ে সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে, পুনরায় আবারো একই পিন দিয়ে সেন্ড বাটনে ক্লিক করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ৫ ডিজিটের পিন হলেও সেক্ষেত্রে সংখ্যাগুলো উল্টাপাল্টা হতে হবে ও ইংরেজিতে সংখ্যাগুলো হতে হবে।
এভাবেই বিকাশের পিন সফলভাবে রিকোভার করা সম্ভব।