পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ধাপ হলো পাসপোর্টের ফি বাবদ ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া। বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে ব্যাংকে পেমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে।
আগে MRP বা EPassport তৈরি ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত গুটিকয়েক ব্যাংকে পাসপোর্ট তৈরির টাকা জমা নিত। সাধারণত সরকারি সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারী ওয়ান ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক।
বর্তমান সময়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে ওপরের উল্লেখিত কয়েকটি ব্যাংকে টাকা জমা দানের নিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে।
এখন থেকে আপনারা ই-পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট নতুন কিংবা নবায়ন করার ক্ষেত্রে যে ফি আছে, সেই ফি এর টাকা বাংলাদেশের যেকোন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকে জমা দিতে পারবেন।
পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়ার জন্য আপনি যখন ব্যাংকে যাবেন, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার হয়ে পাসপোর্টৈর ঠি অনলাইনে এ-চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে দিবে। তবে সেক্ষেত্রে সরকারি বা বেসরকারী ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা তে জমা দিতে হবে, এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে এখনো এ-চালানের কার্যক্রম চলু হয়নি।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়া যায়, ই পাসপোর্ট ৪৮ নাকি ৬৫ পৃষ্ঠার করবেন, ৫ বছর মেয়াদি নাকি ১০ বছর মেয়াদী, সাধারণ ; জরুরী নাকি অতি জরুরী পাসপোর্ট করবেন তার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট তৈরির ফি নির্ধারিত হয়।
পাসপোর্ট তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সময়ের মধ্যে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়, আবেদন করার পর সে ফরমটি প্রিন্ট করে নিয়ে, পাসপোর্টের ফি ব্যাংকে জমা প্রদান, এর পরবর্তীতে আপনার আবেদনপত্র ফরম, ব্যাংক থেকে পাওয়া রিসিভ ও ই-পাসপোর্টের ফরম ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে জমা প্রদান করতে হবে।