আইএফআইসি আমার বন্ডে প্রতি মাসে প্রতি লাখে ১০০০ টাকা গ্রাহক মুনাফা পাবেন । আইএফআইসি আমার বন্ড হল বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ১০০০ কোটি টাকার গ্রিন জিরো কুপন বন্ড, তাই এটি শতভাগ নিরাপদ। এই বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ এবং মুনাফা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা ও গ্যারান্টি দিচ্ছে আইএফআইসি ব্যাংক। এই বন্ডের মুনাফার হার ১২%। অর্থাৎ সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ক্রেতা পাবেন প্রতি লাখে প্রতি মাসে নীট ১০০০ টাকা, যা প্রতি মাসে তোলা যাবে এবং ৫ বছর শেষে পাবেন ১ লাখ টাকা। এভাবে মেয়াদপূর্তিতে ফেরত পাবেন মূল টাকা সহ সর্বমোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
যেকোন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই বন্ড কিনতে পারবে। জয় ১ লাখ টাকার বন্ড কিনতে পারবেন। এ বন্ড কোন ঊর্ধ সীমা নাই। কাজেই ক্রেতার ইচ্ছামত ১ লাখ টাকার গুনীতক যেকোন অংকের বন্ড কিনতে পারবেন। অর্থাৎ ২ লাখ বা ৩ লাখ বা ৪ লাখ বা ৫ লাখ বা ৬ লাখ বা ৩০ লাখ বা ২০ লাখ বা ৪০ লাখ বা ৮০ লাখ বা ৭০ লাখ বা ৬০ লাখ বা ৫০ লাখ যত ইচ্ছা তত।
আইএফআইসি আমার বন্ড কিনতে লাগবে আইএফআইসি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট ও আইএফআইসি ব্যাংক বিও একাউন্ট। বিও একাউন্টে এর নমিনি এই বন্ড এর নমিনি হিসেবে গণ্য হবে। তাই নতুন নমিনির প্রয়োজন নেই। আইএফআইসি ব্যাংকের সকল শাখা/উপশাখায় আমাদের সহকর্মীরা আপনাদের ব্যাংক একাউন্ট এবং বিও একাউন্ট খুলতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। বন্ড হোল্ডার মারা গেলে নিয়ম অনুযায়ী বন্ডের সকল সুবিধা নমিনি পাবে।
আইএফআইসি আমার বন্ডে বিনিয়োগকৃত টাকা এবং মুনাফা সরাসরি গ্রাহকের বিও একাউন্টের সাথে লিংকড ব্যাংক একাউন্টে নির্দিষ্ট সময় জমা হবে। কাজেই গ্রাহক দেশে বা বিদেশে থাকার কারনে টাকা প্রাপ্তিতে কোন অসুবিধা নাই। এই মুহূর্তে আমরা শুধু আই এফ আই সি ব্যাংকের সন্মানিত একাউন্ট এবং বিও হোল্ডারদের নিকট বন্ড বিক্রয় করছি।
বিও একাউন্ট খুলতে ৫০০ টাকা লাগবে। আইএফআইসি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে লাগবে ৫০০ টাকা। বিও একাউন্ট পরিচালনায় বাৎসরিক ৫০০ টাকা। বিও একাউন্ট কেনা বেচায় বর্তমানে খরচের হার ০.৩০%। এই বন্ডে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিও একাউন্ট এবং ব্যাংক একাউন্ট এর সরকারি চার্জ এর বাইরে কোন আলাদা চার্জ নেই।বন্ড ক্রয়ে সোর্স অফ ফান্ড গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্ট খোলার সাথে সম্পৃক্ত। এই বন্ড বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত তাই টাকা হারানোর ভয় নেই। আইএফআইসি বিও ও আইএফআইসি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যে একাউন্ট খুলবে ও নমিনীর ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং একাউন্ট ধারী ও নমিনীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপির প্রয়োজন হবে ।
আইএফআইসি আমার বন্ডের সুবিধা সূমহ
প্রতি মাসে প্রতি লাখে নীট ১০০০ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা। টিন সাটিফিকেট দিতে হবে না। বন্ড ক্রয়ে সঞ্চয়পত্রের মতো কোন ঊর্ধ সীমা নাই। আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, এই বন্ড এর বিনিয়োগ ও তার থেকে অর্জিত মুনাফার /আয়ে আয়কর সুবিধা রয়েছে। আয়কর রিটার্ন প্রদানের প্রমাণপত্র দরকার হবে না এ বন্ড কেনার জন্য। বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জ সমূহে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (ATB) এর মাধ্যমে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন করা যাবে।
এই বন্ড মেয়াদ পূরণের পূর্বে ভাঙানো যাবে যাবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে নিয়ম অনুযায়ী ঋণ নেওয়া যাবে। এই বন্ড এর ইস্যুর হচ্ছে ব্যাংক এর কর্পোরেট ক্লায়েন্ট শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড যারা স্মার্ট সিটি তৈরীর জন্য এই অর্থ ব্যবহার করবে। আইএফআইসি আমার বন্ড মেয়াদ পূরণের পূর্বে বিক্রি করা যাবে। এই বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জ সমূহে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (ATB) এর মাধ্যমে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন করা যাবে। সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ড সেল করতে ব্যর্থ হলে মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তবে এই সময়কালীন নিয়মিত মাসিক আয় পেতে থাকবেন।
1 thought on “আইএফআইসি আমার বন্ড কি । আইএফআইসি আমার বন্ড কতটা নিরাপদ । আইএফআইসি আমার বন্ড কিভাবে কিনবো বিস্তারিত”
Comments are closed.