দিন যত উন্নত হচ্ছে আমরা এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টের মত উন্নত প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হয়ে যাচ্ছি । ইতিমধ্যে ই পাসপোর্ট সেবা বাংলাদেশের প্রায় ১৫ টি জেলায় উন্মুক্ত করা হয়েছে সাধারন জনগনের জন্য, এছাড়াও ২০২০ এর অক্টোবরে আরো ১৩ টি জেলায় উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ধাপে ধাপে । ই-পাসপোর্ট পরিষেবা কোন কোন জেলায় পাওয়া যাবে এবং এমআরপি পাসপোর্ট সেবা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করতে পারবেন জানাবো । যাদের বর্তমানে এমআরপি পাসপোর্টের মেয়াদ রয়েছে তারা চাইলেও ই-পাসপোর্ট স্থানান্তরিত হতে পারবেন, আবার যাদের এমআরপি পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারাও চাইলে বর্তমানে ই পাসপোর্ট এর দিকে স্থানান্তরিত হতে পারবেন ।
এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট কিভাবে আবেদন করবো ? mrp to epassport bd
এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট করার পদ্ধতি :
১) প্রথমত ই পাসপোর্ট করতে কোন ধরনের পেপারস সত্যায়িত করা লাগেনা এবং ই-পাসপোর্টে ছবিও লাগবে না ।
২) সামারি ফর্ম (অ্যাপার্টমেন্টের কাগজটা প্রয়োজন যেখানে তারিখ লেখা থাকে) এবং মূল আবেদন কালার প্রিন্ট করতে পারতে হবে, অনলাইনে আবেদন করলে ।
৩) যদি পেমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে করে থাকেন সেক্ষেত্রে কোন ধরনের পেমেন্ট স্লিপ লাগবে না, তবে অফলাইনে করলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পেমেন্ট স্লিপ এর প্রয়োজন হবে ।
৪) যদি পুরাতন পাসপোর্ট থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পাসপোর্টের বায়ো পেজের ফটোকপি ও মূল পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে ।
৫) প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা ১৮ বছর হলে সেই ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের অরজিনাল এবং ফটোকপি প্রয়োজন ।
বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে নিজের জন্ম নিবন্ধন এবং পিতা মাতার অরিজিনাল ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও ফটোকপি
৫) পুরাতন পাসপোর্ট এর ফটোকপি যদি থাকে ।
৬) পেশা পরিবর্তন করতে চাইলে, যদি ছাত্র হোন তাহলে স্কুল, কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটির পরিচয় পত্র / ব্যবসায় হলে আপডেট ট্রেড লাইসেন্স এবং প্রাইভেট জব হলে অফিস পরিচয় পত্র
৭) স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে অবশ্যই নিম্নোক্ত ডকুমেন্ট দরকার হবে ( বিদ্যুত বিল /পানির বিল /গ্যাস বিল /টেলিফোন বিল / হোল্ডিং ট্যাক্স পেপার / হাউস রেইনটাল ডিড/ সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিত্ব সনদ ) এর মাঝে যেকোন একটি পেপারস প্রয়োজন হবে ।
৮) যা পরিবর্তন করতে চান তার প্রপার ডকুমেন্টস শো করাও তে হবে (নামের বানানের ভুল সংশোধন বা বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন, এসএসসি এইচএসসি সার্টিফিকেট যদি থাকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে, কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার পিতার এবং মাতার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ) আসল কপি গুলো ও ফটোকপি লাগতে পারে ।
৯) নাম পরিবর্তন করা যায় না, তবে নামের বানানের সংশোধন করা যায় । সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিল থাকতে হবে । এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য না, যদি একান্তই দরকার হয় সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসের ডি ডি এর সঙ্গে দেখা করতে হবে, নাম পরিবর্তন সাপেক্ষে যথাযথ প্রমান পত্র দেখাতে হবে, উনার পারমিশন না থাকলে সে ক্ষেত্রে সংশোধন করা যাবে না ।
১০) যদি আগে থেকে আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন থাকে সে ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার হয় না । এই সকল পেপারস বা ডকুমেন্ট নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে ।
কোন কোন জেলায় ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে ?
বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার সব পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সেবা চালু হলেও, বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে ই পাসপোর্ট সেবা এখনো চালু হয়নি । তাই বিদেশ থেকে পাসপোর্ট করতে হলে বর্তমান সময়ে এমআরপি পাসপোর্ট করতে হবে ।
যে সকল জেলায় ই পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে শুধুমাত্র সেই সকল জেলার স্থানীয় অধিবাসীরা ই-পাসপোর্ট সেবাটি বর্তমানে পেয়ে থাকবেন । বাংলাদেশের বিদেশি দূতাবাস সূমহে ই পাসপোর্ট সেবা এখনো চালু হয়নি ।