অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম, অফলাইনে খাজনা দেওয়া যাবে না । জমির খাজনা দিতে কি কি লাগে । জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের নিয়ম

বর্তমান সময়ে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা দেওয়ার সেবা গভর্নমেন্ট ক্যাশলেস করা করেছে। অনেকেরই হয়তো বা এই বিষয়টি এখন বর্তমান প্রেক্ষাপটে সহজ নাও হতে পারে। পূর্ববর্তীতে যেমন ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনাটা দিতে হতো, এখন কিন্তু ভূমি অফিসে কোন ভাবে হাতে নগদ খাজনা নেওয়ার পদ্ধতিটা চালু নেই। এটা সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


তাহলে এখন প্রশ্ন আসে আসলে সাধারণ মানুষরা তাহলে ডিজিটালাইজড বা অনলাইন সিস্টেম কিভাবে তাদের খাজনাটা প্রদান করবে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেক মানুষই হয়তো বা এই প্রসেসটার একটু ভালো অনুভূতি লাভ করবে। কিন্তু অনেক মানুষ হয়তো অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত তাদের ক্ষেত্রে এই অনলাইন প্রসেসে খাজনা দেওয়া বা ভূমি অনলাইন করে দেওয়ার প্রসেসটি কঠিন মনে হতে পারে। তবে প্র্যাকটিস করলে এইটাও সাধারণ মানুষের আয়ত্তে চলে আসবে।


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ে ভূমি উন্নয়নকর বা খাজনা দেওয়ার যে প্রসেসটা রয়েছে তা মানতে হলে নিবন্ধন করতে পারেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাইটে গিয়ে। যদিও ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে তিনটা পদ্ধতি ধরে দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের জন‍্য।


১) জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সচল ফোন নাম্বার দিয়ে ভূমি মন্ত্রানালয়ের সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।


২) ভূমি মন্ত্রণালয়র যে হেল্পলাইন রয়েছে সেখানে আপনি ফোন দিয়ে ৩৩৩ বা ১৬১২২ আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার, আপনার জন্ম সাল তারিখ মাস, আপনার সচল একটা ফোন নাম্বার এবং আপনার জমির খতিয়ান দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন।


৩) ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সচল ফোন নাম্বার দিয়ে সেখান থেকেও রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন।


ভূমি মন্ত্রণালের পোর্টালে গিয়ে “নাগরিক সেবা কর্নার” এ প্রেস করে, ভূমি উন্নয়ন কর অসশনে প্রেস করে, নাগরিক লগইন এ গিয়ে আপনার ফোন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে খাজনা দেওয়ার সিস্টেম দেখতে পাবেন। যদি সময়মত কর না দেন তাহলে জরিমানা দিতে হবে।


এরপর আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, হোল্ডিং নাম্বার, মৌজা নাম্বার বা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে নির্দিষ্ট ভূমি বের করুন। সব ঠিকঠাক থাকলে পেমেন্ট করুন সরাসরি বিকাশ বা রকেট বা নগদ এরকম মোবাইল ব্যাংকিং থেকেও কিন্তু ভূমি উন্নয়ন করে দিতে পারেন অথবা আপনার যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে আই ব্যাংকিং করে ভূমি উন্নয়ন করে দিতে পারেন। আবার চাইলে কিন্তু হচ্ছে ডেবিট কার্ড বা প্রিপেইড কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড রয়েছে এর মাধ্যমেও ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া সম্ভব। আর ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া হলে খাজনা রশিদ বা ভূমি উন্নয়ন কর দিয়েছেন এর বিপরীতে রিশ পাবেন। তা ফোনে নামিয়ে নিয়ে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে প্রিন্ট করুন।

RELATED : অনলাইনে জমির খাজনা দিতে কি লাগে, jomir khajna hisab, jomir mutation kivabe korbo, খাজনা খারিজ মোবাইলে, জমির খাজনা কত টাকা শতক, জমির খাজনা পরিশোধের নিয়ম,kivabe jomir khajna dibo, অনলাইন নামজারি, how to pay land tax online in bangladesh, খাজনা রশিদ কিভাবে লিখতে হয়, জমির খাজনা চেক, jomir khajna rosid, online jomir khajna system 

error: Content is protected !!