বিকাশ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার ঘটনা অনেকেই শুনেছেন ! তবে যদি বলা হয় ব্যাংক একাউন্ট থেকে এই গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে গেছে ? তাহলে শুনতে অবাক লাগে অনেকটা তাইনা ! কিন্তু ঘটনাটি আসলে সত্য। যেহেতু এই ঘটনাটা প্রথম প্রথম কেবল ঘটা শুরু হয়েছে, সেক্ষেত্রে অনেকের সঙ্গেই ঘটতে পারে তাই সচেতন হওয়ার সময় এখনই। এরকম ঘটনা আপনার সঙ্গে ঘটলে কি করবেন জানিয়ে দিব ।
সাম্প্রতিক সময়ে ইবিএলের গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হঠাৎ করেই অনুমতি ছাড়া টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে । ঘটনাটি যদিও রাজশাহীর কিন্তু এতা খারাপ বাত্রা বহন করে, এবিএলের ঐ গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই তার একাউন্টের টাকা অন্য করো ১০টি বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে ট্রান্সফার করা হয়েছে। ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত হয়তো বা এখন আমাদেরও, নয়তো ব্যাংক একাউন্ট ফাকা হতে কারোই সময় লাগবে না। গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া ব্যাংক একাউন্ট হঠাৎ এ ফাঁকা হয়ে গেলে কিভাবে গ্রাহক তার টাকা পুনরায় ফিরে পেতে পারেন, তা আজকে শেয়ার করব।
তবে আগে জানাবো ব্যাংক একাউন্ট বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং যারা ব্যবহার করেন তাদের জন্য করণীয়। দিনে দুই থেকে তিনবার ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করবেন। আপনার যেই ফোন নাম্বার বা মেইল এর সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা ব্যাংক একাউন্ট এড রয়েছে সে নাম্বারটি অন্য কারো হতে দিবেন না কয়েক সেকেন্ডের জন্যও। যে সিম নাম্বারের সাথে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত বিদেশে থাকলে অবশ্যই সিমটি রোমিং করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন, সামান্য কিছু টাকা লাগবে হয়তো বা আপনার সিমটির রোমিং করতে। আর যদি সিম রোমিং করতে না চান তাহলে প্রতি তিন চার মাস অন্তর অন্তর আপনার সিমে ২০ টাকা করে রিচার্জ করে দিতে পারেন। এতে করে আপনার এই সিমটি বন্ধ থাকবে না আর অন্য কারো কাছে কোম্পানি বিক্রি করতে পারবে না।
আপনার ব্যাংক একাউন্টের টাকা হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলে বা গায়েব হয়ে গেলে কি করবেন
১) প্রথমত মাথা ঠান্ডা রাখবেন, আপনার নিকটবর্তী থানায় আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, কবে টাকা উধাও হয়েছে উল্লেখ করে একটা জিডি করবেন।
২) এরপর এই জিডির তিন থেকে চারটা ফটোকপি করবেন মূল কপি নিজের কাছে রাখবেন।
৩) আপনার ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্টের ফটোকপি ও জিডির ফটোকপি সহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কমপ্লেন সেলে রিপোর্ট করবেন বা অভিযোগ করবেন। অনলাইনে রিপোর্ট করলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের হেল্পলাইনে ফোন করে তা অবহিত করবেন
৪) আপনার যেই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে সেই ব্যাংকের ব্রাঞ্চে গিয়ে জিডির ফটোকপি প্রদান করবেন, তাতে করে ব্যাংকের ব্রাঞ্চ এ বিষয়ে তদন্ত করা শুরু করবে।
৫) এর পরবর্তীতে জিডির ফটোকপিটি ও আপনার ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে সাবমিট করবেন, স্বশরীরে গিয়ে।
এর পরবর্তীতে মামলাটির তদন্ত হবে আপনার কাজ প্রায় শেষ মামলাটির তদন্ত হওয়ার পরবর্তীতে দেখা যাবে যে, গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হওয়ার জন্য ব্যাংক প্রতিপক্ষ দায়ী না গ্রাহক দায়ী না তৃতীয় পক্ষ দায়ী, বুঝে শুনে এর পরবর্তীতে বিচার প্রদান করা হবে।