সোনালী নীড় লোনের লিমিট
জমি ও উন্নয়ন ব্যয় বাদে গণপূর্ত বিভাগের (PWD) অনুমােদিত হার অনুযায়ী প্রস্তাবিত ভবনের প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয়ের ৭০: ৩০ ঋণ-ইকুইটি অনুপাতে ব্যক্তি পর্যায়ে আবাসিক গৃহ নির্মাণ ঋণসীমা নির্ধারিত হবে।তবে, সেমি পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ৫.০০ (পাঁচ) লক্ষ টাকা এবং ৪ (চার) তলা পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ ১৫.০০ (পনের) লক্ষ টাকা।
সোনালী নীড় লোনের জন্য প্রয়ােজনীয় কাগজপত্রঃ
১) NID Photocopy
২) পাসপাের্ট/ জন্ম সনদ/ চেয়ারম্যান সনদ/ কমিশনার সনদের ফটোকপি (যার মাধ্যমে স্থায়ী ঠিকানা জানা
যাবে।)
৩) পাসপাের্ট সাইজ ছবি
৪) ঋণ গ্রহীতার Valid মােবাইল নম্বর থাকতে হবে।
৫) সংশ্লিষ্ট শাখায় সচল চলতি হিসাবের ৬ মাসের সন্তোষজনক বিবরণী
৬) নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ঋণ গ্রহীতার বায়ােডাটা (যা ঋণ প্রস্তাব তৈরিতে সহায়ক হবে)
৭) আয়কর প্রত্যয়ন পত্র
৮) Second Succession List
দেশের যেসব জায়গায় এ ঋণ দেওয়া হবে
বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে দেশের পেরি আরবান এবং এর আশেপাশের এলাকা, উপজেলা সদর, ইউনিয়ন পরিষদ গ্রোথ সেন্টারসমূহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বাড়ি নির্মাণ উপযোগী বা ব্যবহারযোগ্য জমি/ জায়গার মালিকেরা এই লোন প্রোডাক্টের জন্য বিবেচিত হবেন।
টার্গেট গ্রুপ
গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং চাকুরীজীবী/ পেশাজীবী/ ব্যবসায়ী/ প্রবাসি যাদের ঋণ পরিশোধের যৌক্তিক সামর্থ্য আছে। সোনালী ব্যাংকে যারা রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকে বিদেশ থে বিশেষ করে প্রবাসীরা এ ঋণ আবেদন করতে পারবে । প্রবাসিদের ক্ষেত্রে বৈধভাবে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানকাল ন্যূনতম ৩ (তিন) বছর হতে হবে।
যে জমিতে বিল্ডিং নির্মিত হবে তার জন্য যা যা লাগবেঃ
১) হালনাগাদ খাজনা রশিদ
২) বিএস মিউটেশন খতিয়ান (ডিসিআর সহ)
৩) আরএস খতিয়ান পিএস (থাকলে তাও নিতে হবে)
৪) টাইটেল ডীড সহ আন্যান্য সকল বায়া দলিলের কপি
৫) তল্লাশী রশিদ সহ দায় মুক্তি সনদ (NEC)
৬) পৈত্রিক এজমালী সম্পত্তি হলে রেজিষ্টার্ড পার্টিশান ডিড এর কপি।
৭) বিএস ও আরএস মৌজা ম্যাপ
৮) ডেভেলাপমেন্ট অথরিটি প্ল্যান (নকশা ও অনুমােদন পত্র)
৯) ট্রেস ম্যাপ।
১০) সয়েল টেস্ট
১১) সরকারি প্লটের ক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ পত্র, দখল হস্তান্তর পত্র, মূল লীজ দলিল এবং বন্ধক প্রদানের অনুমতিপত্র
খ) গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরবর্তী মাস থেকে পরিশােধ সূচী অনুযায়ী কিস্তি জমা শুরু হবে। প্রতি মাসের কিস্তি অবশ্যই মাসের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশােধ করতে হবে।
গ) ১২ টি চেকের মাধ্যমে ১ বছরের কিস্তি আদায়ের পর পরবর্তী কিস্তি চেক/ ব্যাংকের ছাপানাে ডিপােজিট স্লিপের মাধ্যমে পরিশােধ করতে হবে।
ঘ) আলােচ্য ঋণের কিস্তি অগ্রিম পরিশােধ করা যাবে।
ঙ) সােনালী নীড় গৃহ নির্মাণ ঋণের মেয়াদ ৯ (নয়) বা ১২ (বার) মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১০ (দশ) বা ১২ (বার) বছর।
ঋণ প্রাপ্তির যােগ্যতাঃ
১.০১ ব্যক্তি পর্যায়ে এ ঋণ মঞ্জুরীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজস্ব জামির মালিকানা থাকতে হবে। চুক্তি করার যােগ্যতা সম্পন্ন বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক আবাসিক গৃহ নির্মাণ ঋণের আবেদন করতে পারবেন।
১.০২ একাধিক মালিকানাধীন জমির ক্ষেত্রে সকল মালিক ঋণের জন্য আবেদন করলে বিবেচনা করা যাবে।
১.০৩ প্রস্তাবিত ভবনের সাথে অনুমােদিত প্ল্যান অনুযায়ী পাকা রাস্তা এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
১.০৪ সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রস্তাবিত ঋণ আবেদনকারী ব্যক্তির/ ব্যক্তিদের একটি চলতি হিসাব থাকতে হবে। প্রকল্পের নির্মাণ কাজের যাবতীয় লেনদেন উক্ত হিসাবের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।
১.০৫ আবাসিক গৃহ নির্মাণ ঋণের ক্ষেত্রে ভূমির মূল্য বাদে প্রস্তাবিত ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৩০ শতাংশ উদ্যোক্তার ইকুইটি বিনিয়ােগ করতে হবে।
১.০৬ প্রস্তাবিত ভবনের ভাড়া ও ঋণগ্রহীতার অন্যান্য উৎসের আয় ঋণের কিস্তির অন্যূন ১.৫০ গুণ হতে হবে।
১.০৭ বাণিজ্যিক-কাম-আবাসিক ভবন/ বানিজ্যিক ভবন/ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আবাসিক ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণকারী/ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোন ঋণ প্রদান করা যাবে না।
আমাদের একটা ৫ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি আছে নারায়ণগঞ্জ এর সিদ্ধিরগঞ্জে। আমরা ৭ ভাই আর মা আছে। জায়গার পরিমাণ ৪.৫ শতাংশ। নীচ তলা কমপ্লিট এবং উপরের পিলার দেওয়া আছে। ৬০ লাখ টাকার একটা লোন দরকার।