টাকা পে ন‍্যাশনাল ডেবিট কার্ড আর নয় ভিসা কার্ড বা মাস্টার কার্ড খরচ কমবে । টাকা পে কার্ড ডিটেইলস সুবিধা অসুবিধা

ক্যাশলেস লেনদেন বা লেনদেনের ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে দেশের বাইরেও এই কার্ডগুলো ব্যবহার করা যায়। এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংক গুলোর মাধ‍্যমে নিয়ে এসেছে নাম টাকা পে কার্ড। এটিও ব‍্যবহার করা যাবে দেশ বিদেশে। দেশি পেমেন্ট মাধ‍্যম হওয়ার কারণে এ কার্ডের খরচ কমে যাবে অনেকটা। কিভাবে এই কার্ডটি নিবে, কার্ডটি নিতে কি কি লাগবে, খরচ হবে কেমন বিস্তারিত শেয়ার করবো। এই কার্ডটির সুবিধা নিতে পারবেন দেশের সকল গ্রাহকরা। সেভিংস অ্যাকাউন্টের বিপরীতে কার্ডটি ইস্যু করা যাবে।


অনেকেই ভ্রমণ বা চিকিৎসার কারণে ভারত ভ্রমণ করেন। সেক্ষেত্রে অনেকেই নিতে হয় ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এবং এই সকল কার্ডের অতিরিক্ত ফি দিতে হয়। তবে টাকা পে কার্ড এখানে ব্যতিক্রম অভিঙ্গতা দিবে।প্রাথমিকভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই কার্ডটি ব‍্যবহার করে পেমেন্ট করা যাবে।


টাকা পে কার্ড কোথায় পাবেন

প্রথম পর্যায়ে এই কার্ড চালুর অনুমতি পেয়েছে ৮টি ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক ‘টাকা পে’ কার্ড ইস্যু করতে পারবে। অর্থাৎ গ্রাহকরা শুরু এই দুই ব্যাংক থেকে কার্ড নিতে পারবে।


আন্তর্জাতিক কার্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই দেশে টাকা পে ডেবিট কার্ডে তৈরি। এই কার্ডটিকে আস্তে আস্তে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তখন এই কার্ডটির মাধ্যমেই বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও অন‍্যান‍্য দেশে ব‍্যবহার এর সুবিধা থাকবে।


টাকা পে কার্ডের বৈশিষ্ট্যসমূহ

১) TakaPay আন্তর্জাতিক কার্ড স্পেশিফিকেশন EMVCo অনুসারে প্রস্তুতকৃত বিধায় ভবিষ্যতে এই কার্ডকে আন্তঃদেশীয় (International) লেনদেন উপযোগী করা হবে।
২) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সর্বাধুনিক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত CHIP Technology ব্যবহৃত হয়েছে বিধায় গ্রাহকের তথ্যের সুরক্ষার পূর্ণ নিশ্চয়তা থাকবে।
V NFC প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বিধায় কন্ট্রাক্টলেস পদ্ধতিতে Tap and Go সেবাপ্রদান সম্ভব হবে
৩) স্মার্ট ওয়াচ, Wristband, Ring ইত্যাদি Wearables ব্যবহার করে কন্টাক্টলেস লেনদেন করা যাবে।
৪) স্মার্টফোন ব্যবহার করে ডিজিটাল/ভার্চুয়াল ‘TakaPay’ কার্ড ইস্যু করা যাবে।


০৮ টি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘TakaPay’ কার্ডের পাইলট সম্পাদন। তন্মেধ্যে ০৩ টি ব্যাংক যথাঃ সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড ইতোমধ্যে ‘TakaPay’ কার্ড প্রচলন করেছে। শীঘ্রই অন্যান্য সকল তফসিলি ব্যাংক, ডিজিটাল ব্যাংক, মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক ‘TakaPay’ কার্ড প্রচলন।

 

টাকা পে কার্ড নিতে কি কি লাগবে
টাকা পেয়ে কার্ডটি নিতে চাইলে অবশ্যই ব্যাংক একাউন্টের বিপরীতে নিতে হবে। এজন্য গ্রাহকের ও নমীনির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। গ্রাহক এবং নমিনীর এনআইডির ফটোকপি নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে। ১৮ বছরের নিচে এই কার্ডটি পাওয়া যাবে না।


টাকা পে কার্ডের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিভিন্ন দেশের সাথে পারস্পরিক পরিশোধ অবকাঠামো ব্যবহার করে আন্তঃদেশীয় লেনদেন সম্পাদন করা।আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমসমূহের সাথে Co-badging এর মাধ্যমে কার্ডভিত্তিক ক্রস বর্ডার লেনদেন সম্পাদন করা। ট্রেন, মেট্রো ইত্যাদি মাস ট্রানজিটের ভাড়া এবং সেতু, ফ্লাইওভার ও এক্সপ্রেসওয়ে সমূহের টোল আদায়ে ‘TakaPay’ কার্ডের ব্যবহার নিশ্চিত করা।

error: Content is protected !!