সঞ্চয় পত্র নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক আগ্রহ দেখা যায় । বেশি লাভ এবং সরকারি বিনিয়োগ বিধায় ঝুকিমুক্ত ও টাকা সময়মত ফেরত পাওয়া যায় । তবে বর্তমানে এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে । সকল সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘরে বিনিয়োগে মোট লিমিট বেধে দিতে যাচ্ছে, যেখানে আগের চেয়ে বিনিয়োগ সীমা কমতে যাচ্ছে ।
আগে একজন সাধারন মানুষ একক নামে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর মিলে ইনভেস্টমেন্ট পারতো একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে । যৌথ নামে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর মিলে ইনভেস্টমেন্ট পারতো দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ।
কিন্তু এখন একক নামে সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর মিলে ইনভেস্টমেন্ট করতে পারবে ৫০ লাখ টাকা , যদিও এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন সঞ্চয়স্কিম ভেদে লিমিট আছে । যদি বিষয়টি বুঝাতে চাই তাহলে এভাবে বলতে হয় , পরিবার সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকার, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম ২ লক্ষ টাকা , তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ২ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সঞ্চয় পত্র ১ লক্ষ টাকার অর্থাৎ মোট ৫০ লক্ষ টাকার বেশি আর ক্রয় করতে পারবে না একক নামে ।এখানে টাকার পরিমাণ বিভিন্ন স্কিম ভেদে পরিবর্তন যোগ্য তবে তা ৫০ লাখের বেশি না । ঠিক তেমনি ভাবে যৌথ নামে ১ কোটি টাকার বিশে বিনিয়োগ করা যাবে না, সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর মিলে ।
আপনি যদি একজন পেনশনার ব্যাক্তি হয়ে থাকেন অর্থাৎ সরকারি, আধাসরকারি ,স্বায়ত্তশাসিত, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে সরকারি কোন পদে থেকে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি এখন শুধুমাত্র পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন একক নামে ৫০ লাখ লাখার ও অন্যান্য সঞ্চয়স্কিম কিনতে পারবেন ৫০ লাখ টাকার, অর্থাৎ ১ কোটি টাকার । যদি উদাহরণ দেয়, তাহলে বলতে হয় আপনি পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনলেন ৫০ লাখের, পরিবার সঞ্চয়পত্র ৩০ লাখ টাকার, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম ১০ লক্ষ টাকা , তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সঞ্চয় পত্র ৫ লক্ষ টাকার অর্থাৎ মোট ১ কোটি টাকার বেশি আর ক্রয় করতে পারবে না একক নামে । যদিও পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ এ উৎসকর দিতে হয় না ।
এছাড়াও একজন পেনশনার এখন যৌথ নামে সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ।
অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ সরকার 2021-22 অর্থ বছরেই সার্কুলার জারি করতে যাচ্ছে যদিও এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকারের সঞ্চয় অধিদপ্তরের অনলাইন ডাটাবেজের রয়েছে